প্রতীকী ছবি।
আধার বিল নিয়ে কি ফের পর্যালোচনা হবে সুপ্রিম কোর্টে?
কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯টি ট্রাইবুনালে সদস্য নিয়োগের নিয়ম বদল আজ খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। নতুন ভাবে নিয়ম তৈরি করতে বলা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। সেইসঙ্গে লোকসভার স্পিকার যে কোনও বিলকে ‘অর্থ বিল’ বললেই সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভা এড়িয়ে যাওয়া যায় কি না, তা বিবেচনার জন্য উচ্চতর সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চই আধার বিলকে অর্থ বিল হিসেবে মেনে নিয়েছিল। ফলে সাত জন বা ন’জন বিচারপতির বেঞ্চই এই বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। তবে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চে আধার বিলকে অর্থ বিল করা নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর রায়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছিলেন। আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের যে বেঞ্চ অর্থ বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত উচ্চতর বেঞ্চের বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছে বিচারপতি চন্দ্রচূড় সেই বেঞ্চেরও সদস্য।
কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য জয়রাম রমেশ ২০১৭ সালে ১৯টি ট্রাইবুনালে পরিবর্তন সংক্রান্ত নিয়ম অর্থ বিল হিসেবে আনার প্রতিবাদ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আজ তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আগের বেঞ্চের রায় সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছে। তাই এ বার আধার বিলকে অর্থ বিল হিসেবে পেশ করা নিয়েও পর্যালোচনা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নতুন সিদ্ধান্তে নিলে ১৯টি অর্থ বিলে বদল করতে হবে মোদী সরকারকে।’’ তাঁর মতে, ‘‘ট্রাইবুনালে যোগ্যতা ছাড়াই দেদার নিয়োগ করছিল মোদী সরকার। এই রায়ে হার হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর।’’
কংগ্রেসের মতে, অর্থ বিল হিসেবে ঘোষণা করে সরকার অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যসভা এড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ, লোকসভায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। রাজ্যসভায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। কোনও বিলকে অর্থ বিল হিসেবে ঘোষণা করলে তা লোকসভায় পাশ হলে আর রাজ্যসভার অনুমোদন প্রয়োজন হয় না।
বিজেপি অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। দলের বক্তব্য, ‘‘সরকারের মত আদালতে জানানো হয়েছে। সরকারই উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’’ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, লোকসভার স্পিকার অর্থ বিল হিসেবে ঘোষণা করলে সেই সিদ্ধান্ত আর আদালতে পর্যালোচনা করা যায় না।