শ্রদ্ধা ওয়ালকার এবং আফতাব আমিন পুণাওয়ালা। —ফাইল চিত্র।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর। দিল্লির ছতরপুরের নিকটবর্তী জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল নিখোঁজ তরুণী শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহ। শ্রদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তাঁরই ছায়াসঙ্গী আফতাব আমিন পুণাওয়ালার বিরুদ্ধে। সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই ঘটনা গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশ্যে আসার পর এক বছর অতিক্রান্ত। শ্রদ্ধার বাবার বক্তব্য এই মামলার অগ্রগতি কী, তা পুলিশ কিংবা আদালতের কাছ থেকে তিনি জানতেই পারেননি।
শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি আমার মেয়ের দেহাবশেষ পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু পুলিশ আমায় কিছুই দেয়নি।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “মনে হচ্ছে মামলাটি হিমঘরে ঢুকে গিয়েছে। অথচ সব তথ্যপ্রমাণ তার (আফতাব) বিরুদ্ধে ছিল।” মেয়ের সঙ্গে পুরনো স্মৃতির কথা উত্থাপন করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা-আফতাবের। আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২২ সালের ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব। পুলিশের চার্জশিটেও সে কথা বলা হয়েছে। আমেরিকার এক ওয়েব সিরিজ় থেকে ‘অনুপ্রেরণা’ নিয়ে শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেন আফতাব। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে নতুন ফ্রিজ়ও কিনে আনেন তিনি। এর পর ১৮ দিন ধরে মেহরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত আফতাব।
শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ ওই বছরের ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেফতার করে। জানুয়ারি মাসে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি শ্রদ্ধারই। জানুয়ারি মাসেই আফতাবের বিরুদ্ধে ৬,০০০ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত।