Coca Cola

Coca Cola Meme: বোতলের আকৃতি আপত্তিকর! কোকা কোলার বিরুদ্ধে কি  সত্যিই মামলা করলেন প্রিয়ঙ্কা

নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী দিল্লির ওই কন্যার নাম প্রিয়ঙ্কা পাল। নামে বাঙালি মনে হলেও তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কোথাও বাংলার উল্লেখ নেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২১ ১৩:৪৮
Share:

নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী দিল্লির ওই কন্যার নাম প্রিয়ঙ্কা পাল। ছবি : ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

একটি পোস্ট নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে কিছুদিন আগে। তাতে বলা হয়েছে, নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী দিল্লির এক কন্যা কোকা কোলা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পোস্টটির দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ তাতে কথিত ‘মামলা’র বিষয়বস্তু। বলা হয়েছে, দিল্লির ওই কন্যা কোকা কোলার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাদের নরম পানীয়ের বোতলের আকৃতির জন্য। তিনি নাকি দাবি করেছেন, কোক-এর বোতলটি দেখতে পুরুষাঙ্গের মতো। আর এ ধরনের বোতলে পানীয় ভরে আসলে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবকেই প্রকট করে দেখিয়েছে সংস্থাটি। যদিও দিল্লির ওই নারী আন্দোলনকারী সম্প্রতি পুরো ঘটনাটিকেই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন।

নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী দিল্লির ওই কন্যার নাম প্রিয়ঙ্কা পাল। নাম শুনে বাঙালি মনে হলেও তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কোথাও বাংলার উল্লেখ নেই। নারীদের অধিকার নিয়ে নানা কথা নিজের আঁকা ছবির সাহায্যে প্রকাশ করেন প্রিয়ঙ্কা। ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই সব ছবি পোস্টও করেন। কোকা কোলা নিয়ে বিতর্কের জবাবও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেই দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। পরিচয় বিভাগে লিখেছেন, ‘আমি কোকা কোলা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করিনি। আমার কাছে এত টাকাও নেই। এমনকি এ ভাবে কোকা কোলার মতো সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না, সে ব্যাপারেও আমার কোনও ধারণা নেই। আপনাদের কি ধারণা আছে এ ধরনের আইন প্রসঙ্গে?’

Advertisement

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ইনস্টাগ্রামে খোলামেলা পোশাকে নিজের ছবিও পোস্ট করেন প্রিয়ঙ্কা। ভাইরাল হওয়া পোস্টটিতে তাঁর তেমনই একটি ছবির পাশে দেখা যাচ্ছে কোকা কোলার একটি বোতল। নীচে বিবরণে লেখা, ‘কোকা কোলা সংস্থার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেছেন দিল্লির এই কন্যা। মামলার কারণ, তাদের পানীয়ের বোতলের আকৃতি পুরুষাঙ্গের মতো। মামলাকারী জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে বিষয়টি বড়ই আপত্তিকর এবং বিরক্তিরও। কারণ পুরুষাঙ্গের মতো দেখতে এই বোতল পিতৃতান্ত্রিক সমাজেরই প্রতীক।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্য নরম পানীয়ের সংস্থাগুলিকে শিক্ষা দিতেই এই মামলা’

প্রিয়ঙ্কা ওই পোস্টটি এর পর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ভারতীয় মিম জগতের এই অবনমন দেখে আমি স্তম্ভিত। আর কিছু না হোক, তারা অন্তত ঘটনার সত্যতাটুকু বজায় রাখুক। বিষয়টি সর্বৈব মিথ্যে। তা ছাড়া এই পোস্টটি ব্যঙ্গ হিসেবেও এত খারাপ যে, হাসিও পাচ্ছে না।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement