নিজের স্বামী-সহ তিন ব্যক্তিকে খুন এবং যৌনপল্লি চালানোর অভিযোগে গত রবিবার গ্রেফতার হয়েছিল সবিতা ভারতী নামে এক মহিলা। তার দুই সন্তান আছে। পুলিশের কাছে জেরায় সে স্বীকারও করেছে অপরাধের কথা।
পুলিশ জানিয়েছে, তেরো বছর আগে সবিতা (৪২) নিজের স্বামীকে খুন করে তাঁর দেহ বাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রেখেছিল। পালঘর থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর কিরণ কাবাড়ির দাবি, ‘‘২০০৪ সালে সবিতাকে তার প্রেমিক কমলেশের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল স্বামী সহদেব। নিজেদের কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার ভয়ে কমলেশ আর সবিতা এর পরে মাথায় পাথর মেরে খুন করে ঘুমন্ত সহদেবকে। তার পর তার দেহ নিয়ে বাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। কেউ যাতে কিছু বুঝতে না পারে, সে জন্য সেই ট্যাঙ্কের উপরে সিমেন্ট চাপা দিয়ে দেয়।’’
সম্প্রতি একটি যৌনচক্রের খোঁজে গিয়ে পুলিশ আচমকা হদিস পায় এই খুনের। তাদের কাছে খবর ছিল, সবিতা নামে ওই মহিলার বাড়িতে অবৈধ যৌনচক্র চলছে। পুলিশ হানা দেওয়ার পরে সবিতার খপ্পর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চার মহিলাকে। কিছু সন্দেহ থেকে যাওয়ায় পুলিশ সবিতার গাঁধীপাড়ার বাড়িতে দ্বিতীয় বার ফের গিয়েছিল। তখনই ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় সহদেবের কঙ্কাল। সবিতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধরা হয় এক খদ্দেরকেও। কোনও কোনও সূত্রে দাবি, এই মহিলার নাম ফরিদা।
পুলিশের বক্তব্য, প্রতিবেশীদের সবিতা জানিয়েছিল, মদ্যপ স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এখন ওই কঙ্কালটি ফরেন্সিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হবে। দ্বিতীয় ঘটনায় সবিতা তার এক খদ্দেরকে খুন করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই লোকটির কাছে এক লক্ষা টাকা ছিল, সেই টাকার লোভেই তাকে খুন করে সবিতা। সেই দেহ এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ। আর তৃতীয় ঘটনায় নরবলির যোগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।