নির্যাতিতার বয়স ২০। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, গত শনিবার চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠান বলজিৎ নামে এক যুবক। প্রতীকী ছবি।
চাকরির পাওয়ার আশায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু সেখানে পৌঁছে তিনি দেখলেন অফিসের বদলে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে একটি ফ্ল্যাটে। যিনি তাঁকে চাকরির জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন ফ্ল্যাটটি তাঁরই। এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে তিনিই গণধর্ষণ করেন ওই তরুণীকে। পুলিশ এই ঘটনায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ঘটনাটি গুরুগ্রামের। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত শনিবার চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠান বলজিৎ নামে এক যুবক। বলজিতের সঙ্গে কাজের সূত্রে তাঁর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এক বান্ধবীই। তাঁর কথাতেই ভরসা করে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। কিন্তু সেখানে পৌঁছে অত্যাচারের শিকার হন। তরুণী জানিয়েছেন, কথার ফাঁকে তাঁকে এক গ্লাস নরম পানীয় দেন বলজিৎ। সেই পানীয় খাওয়ার পর থেকেই তাঁর মাথা ঘুরতে শুরু করে। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেন বলজিৎ। তার কিছু পরেই প্রায় অচেতন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ থেকে কিছু দিন আগেই একটি চাকরি পেয়ে দিল্লিতে এসেছিলেন ওই নির্যাতিতা। সেখানে তাঁর বোনের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতিই তিনি চাকরি বদলানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই সূত্রেই নিক্কি নামে দিল্লির এক বন্ধুর কাছে সাহায্য চান তিনি। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন নিক্কিই তাঁকে যোগাযোগ করতে বলেন বলজিতের সঙ্গে। ফোনে কথাও বলিয়ে দিয়েছিলেন। বলজিৎ গত শনিবার তাঁকে গুরুগ্রামের ১১০ নম্বর সেক্টরে বুল সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠান। তবে সেটি যে তাঁর ফ্ল্যাট তা ওই তরুণকে জানাননি তিনি।
নির্যাতিতা বলেছেন, প্রায় অচেতন অবস্থায় যখন ওই ফ্ল্যাটে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি, তখন সেখানে এসে হাজির হন বলজিতের এক বন্ধু। দু’জনে মিলে শারীরিক অত্যাচার করেন তাঁর উপর। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও পেরে ওঠেননি নির্যাতিতা। পুলিশ দু’জনের খোঁজেই তল্লাশি শুরু করেছে।