নদীর উপর দিয়েই ছুটছে গাড়ি। ছবি: পিটিআই।
যানজট এড়ানোর জন্য বিকল্প সড়কপথ ছিল না। তাই নদীর উপর দিয়েই গাড়ি ছোটালেন এক পর্যটক। ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। বড়দিন এবং নতুন বছর উদ্যাপন করতে হিমালয়ের কোলে থাকা এই রাজ্যে পর্যটকদের সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। পর্যটকবোঝাই গাড়ির চাপে সোমবার সে রাজ্যের লেহ্-মানালি জাতীয় সড়কের একাংশ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে রাস্তা এড়িয়ে নদীর উপর দিয়ে গাড়ি ছোটান ওই পর্যটক। যদিও মোটর আইন ভাঙার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
হিমাচলের লাহুল স্পিতি জেলায় চন্দ্রা নদীর উপর দিয়ে একটি গাড়িকে এগিয়ে আসতে দেখেন স্থানীয়রা। নদীর জলের দিকে ইঙ্গিত করে তাঁরা গাড়িটিকে হাত দেখিয়ে থামানোরও চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশ জোরেই গাড়ি নিয়ে নদী পেরোন ওই পর্যটক। এই নদী পারাপারের ছবি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নেহাত নদীতে জল কম ছিল। না হলে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। এই ধরনের ঘটনা অন্য দেরও এমন ঝুঁকিমূলক কাজে উৎসাহিত করবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
জেলার পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক চৌধুরি অবশ্য জানিয়েছেন, নদীর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে অভিযুক্ত পর্যটক মোটর আইন ভেঙেছেন। ওই পর্যটকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া আইন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকেই লাহুল থেকে মানালি যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় যানজট শুরু হয়। হিমাচল প্রশাসন মঙ্গলবার জানায়, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামাঙ্কিত অটল সুড়ঙ্গ দিয়ে শুধু ২৪ ঘণ্টাতেই ২৮ হাজার ৮১০টি গাড়ি যাতায়াত করেছে। ৯ কিলোমিটারের এই সুড়ঙ্গ বা টানেল পেরোতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে বলেও দাবি করেন গাড়িচালকদের একাংশ। যদিও সোমবার দুপুরের পর থেকে চাপ কিছুটা কমেছে বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।