জোধপুরের গ্রামে জলাভাবে মরছে মাছ।
প্রচণ্ড গরমে তাপপ্রবাহ চলছে রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায়। রাজ্যের একাধিক এলাকায় ক্রমশ প্রকট হচ্ছে জলাভাব। শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর। জলস্তর নেমে যাওয়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে মরছে মাছ। রাজস্থানের জোধপুরের সয়লা গ্রামের এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে এখনও কিছুটা দেরি। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, তার আগে এমন পরিস্থিতি চললে এলাকা জুড়ে জলাভাব তীব্র হয়ে উঠবে।
বিষয়টি প্রথম নজরে আসে সয়লা এলাকার এক সরকারি আধিকারিকের। তিনি দেখতে পান, পুকুরে জল না থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ মরে ভেসে উঠছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরের জলস্তর নেমে গিয়েছে অনেকটা। আর জল না পেয়ে মারা যাচ্ছে মাছ। মাছ বাঁচাতে এখন জল কিনে পুকুরে ফেলছেন গ্রামবাসীরা। চাঁদা তুলে আনা হয়েছে ওয়াটার ট্যাঙ্ক। মাছ বাঁচাতে সেই জলই পুকুরে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু এই ছবি অন্য আশঙ্কা তৈরি করেছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। করোনার জেরে ইতিমধ্যেই জোধপুরের হাসপাতাল ও দমকল বাহিনীর মধ্যে জলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। স্যানিটাইজেশনের জন্য জল সংগ্রহ করা হচ্ছে স্থানীয় পুকুরগুলি থেকে। একে রাজ্যে তাপপ্রবাহ। তার উপর এর মধ্যেই লাগাতার জল সংগ্রহ করায় জলাশয়গুলির জলস্তর এখন ক্রমশ নামছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জোধপুর শহর ও আশপাশের গ্রামগুলিতে জল সরবরাহে কাটছাঁট করতে হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে।
আরও পড়ুন: মহুয়াকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের নিশানায় ‘ললিপপ’ ধনখড়
আবহাওয়া দফতরের মতে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটেছে স্বাভাবিক সময়ে। কিন্তু এ বছর বর্ষা প্রায় ১০ দিন পর রাজস্থানে গিয়ে পৌঁছবে। রাজস্থানে ২৫ জুন নাগাদ বর্ষা পৌঁছতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেজরীবালের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শাহ