Telangana

অনলাইন অ্যাপে ঋণ নেন, শোধ দিয়েও নিস্তার নেই, ফোনে হয়রানির অভিযোগ, আত্মহত্যা পড়ুয়ার

মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, একটি অনলাইন অ্যাপ সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। ওই সংস্থার পক্ষে তাঁকে বার বার ফোন করে হয়রানি করা হত। বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার পরেই এই চরম সিদ্ধান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৪
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অনলাইন অ্যাপ থেকে বেশ কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এক যুবক। তার মধ্যে অনেকটা পরিশোধও করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ঋণ প্রদানকারী অ্যাপ সংস্থার পক্ষে ক্রমাগত ফোন করে হয়রানি করা হত তাঁকে। পরিবারের লোকজনও বাদ পড়তেন না। আর তাতেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ওই যুবক। শেষমেশ চরম পদক্ষেপ! ফাঁকা বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

তেলঙ্গানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের বছর কুড়ির এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সোমবার বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, একটি অনলাইন অ্যাপ সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। ওই সংস্থার পক্ষে তাঁকে বার বার ফোন করে হয়রানি করা হত। বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার পরেই এই চরম সিদ্ধান্ত।

ওই সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছ। যদিও তাতে কী লেখা আছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিশ।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ছাত্র শুধুমাত্র অনলাইন অ্যাপ থেকেই ঋণ নেননি, বন্ধুদের কাছ থেকেও টাকা ধার নিতেন। অনলাইনে গেম খেলে বিপুল টাকা খুইয়েছিলেন তিনি। ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। সেই কারণে মানসিক অবসাদও শুরু হয়। মৃতের বাবার কথায়, ‘‘আমি ছেলের ঋণের মধ্যে তিন লাখ টাকা শোধ করে দিয়েছি। তার পরেও অনলাইন ওই অ্যাপ সংস্থা থেকে এজেন্টরা ফোন করে বিরক্ত করতেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement