—প্রতীকী ছবি।
মোদী জমানায় যখন রাজনৈতিক চাঁদার জন্য নির্বাচনী বন্ড চালু হয়, সে সময় স্টেট ব্যাঙ্ক তার তথ্য-প্রযুক্তি পরিকাঠামো তৈরি করতে ৬০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করেছিল। নির্বাচনী বন্ড চালু করার জন্য খরচ করেছিল প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। এখন স্টেট ব্যাঙ্ক নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল কোন শিল্পপতির থেকে কত চাঁদা পেয়েছে জানাতে চাইছে না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
রাজনৈতিক চাঁদায় স্বচ্ছতার পক্ষে আন্দোলনের প্রধান মুখ, অবসরপ্রাপ্ত ফৌজি কমোডোর লোকেশ বাত্রার যুক্তি, নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে স্টেট ব্যাঙ্ক ৬০ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা খরচ করেছিল বলে নিজেই জানিয়েছিল। নির্বাচনী বন্ড বিলি করা, ভাঙানো ইত্যাদির জন্য খরচ হয়েছিল প্রায় ৮৯ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। নির্বাচনী বন্ড চালুর মোট খরচ ছিল ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বেশি। ২০১৭-১৮-য় স্টেট ব্যাঙ্ক নির্বাচনী বন্ড বিক্রি, ভাঙানোর জন্য বিশেষ প্রযুক্তি তৈরি করেছিল। তার পরে ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে বিক্রি হওয়া মাত্র ২২,২১৭টি বন্ডের তথ্য প্রকাশ করা কঠিন হওয়া উচিত নয়। আজ কংগ্রেস, সিপিএম-সহ সমস্ত বিরোধী দল দাবি তুলেছে, স্টেট ব্যাঙ্ক আগামিকালই সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ মেনে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করুক। তা হলে খোলসা হয়ে যাবে বিজেপি কোন শিল্পপতির দেওয়া চাঁদায় ভোটে লড়তে চলেছে।
কে কোন দলকে কত টাকা চাঁদা দিচ্ছেন, তা গোপন রাখতে মোদী সরকার নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা চালু করে। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ককে
৬ মার্চের যাবতীয় তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। দু’দিন আগে স্টেট ব্যাঙ্ক সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে, জুন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগে কোন দলের থেকে কে কত টাকা চাঁদা পেয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশে রাজি নয় স্টেট ব্যাঙ্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি কোন কর্পোরেট সংস্থার থেকে কত চাঁদা পেয়েছে, মোদী সরকারের নির্দেশেই স্টেট ব্যাঙ্ক ভোটের আগে তা প্রকাশ করতে চাইছে না।