—ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আইনি মামলার টানাপড়েনের মধ্যেই বিতর্কে জড়াল বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি স্কুল। গুগ্ল মানচিত্রে জ্ঞানবাপীকে মসজিদের পরিবর্তে ‘মন্দির’ বলে উল্লেখ করার জন্য সমস্ত প্রাক্তনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি, বেঙ্গালুরুর নিউ হরাইজন পাবলিক স্কুল (এনএইচপিএস) কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সমস্ত প্রাক্তন পড়ুয়াকে এই নির্দেশ দিয়ে ইমেল করেছেন। তাতে লেখা হয়েছে, ‘প্রত্যেককে অনুরোধ করা হচ্ছে, গুগ্ল মানচিত্রে গিয়ে জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিবর্তে জ্ঞানবাপী মন্দির হিসাবে আপডেট করুন। আপনাদের কাছে এই আর্জি জানানো হচ্ছে। যত ক্ষণ না গুগ্ল (মানচিত্রে) এই পরিবর্তন করে, তত ক্ষণ পর্যন্ত আমাদের হিন্দু ভাই এবং বোনেদেরও এমনটা করার জন্য বলুন।’ কোন পদ্ধতিতে গুগ্ল মানচিত্রে এই পরিবর্তন করতে হবে, তার নির্দেশিকাও ওই ইমেলে জানানো হয়েছে।
প্রাক্তনীদের এই ইমেলটি পাঠানো হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশে বহু প্রাক্তনীই হতবাক। ওই সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক অতীতে প্রকাশ্যেই যে রাজনৈতিক এবং আদর্শগত অবস্থান নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, এটা তারই উদাহরণ।
এর আগেও ওই স্কুল পরিচালনাকারী গোষ্ঠীর কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাব প্রকাশ্যে এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালে ৫ অগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপূজনের সময় ওই মন্দির ট্রাস্টে স্কুলের তরফে অর্থদান করা হয়েছিল বলে দাবি। এমনকি, গত মার্চে প্রত্যেক স্কুলকর্মীকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘কাশ্মীর ফাইল্স’ ছবিটি দেখানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুতে ওই বেসরকারি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন বহু নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জ্ঞানবাপী-বিতর্কে নাম জড়ানোর পর এ নিয়ে নেটমাধ্যমে বিবৃতি জারি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও সেখানে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে কোনও উল্লেখ নেই। ইনস্টাগ্রামে নিজেদের পেজে স্কুলের দাবি, ‘সুনির্দিষ্ট স্ক্রিনিং পদ্ধতি ছাড়াই ওই ইমেলটি পাঠানো হয়েছিল।’