—প্রতীকী চিত্র।
অরুণাচল প্রদেশের এক আবাসিক স্কুলে ২১ জন পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ওই পকসো আদালত বৃহস্পতিবার আসামিকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে। পাশাপাশি ওই অপরাধে জড়িত আরও দুই আসামিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এই দুই আসামিও স্কুলের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন। এক জন স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এবং অপর জন স্কুলের হিন্দি শিক্ষক। ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনের একাধিক ধারায় তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। অন্ধ্রপ্রদেশের শি-ওমি জেলার ওই সরকারি আবাসিক স্কুলে ২১ পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। নির্যাতিতদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্রী। প্রত্যেকেরই বয়স ৬-১৫ বছরের মধ্যে। ওই আবাসিক স্কুলের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে গত বছরের নভেম্বরে। স্কুলের দুই শিক্ষিকা এ বিষয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তার দু’দিন পরেই স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নভেম্বরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন হস্টেলের ওয়ার্ডেন। চলতি বছরের জুলাইয়ে এই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল গুয়াহাটি হাই কোর্টের ইটানগর বেঞ্চ। মূল অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট।
পকসো আদালতের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার ইটানগরের পুলিশ সুপার রোহিত রাজবীর সিংহ বলেছেন, “আদালতের এই সাজা ঘোষণার প্রভাব কেবলমাত্র এই নির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে সীমিত থাকল না। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য বৃহত্তর সমাজের প্রতি একটি বার্তাও গেল এই নির্দেশে।” তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হস্টেল ওয়ার্ডেনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮ ও ৫০৬ ধারায় এবং পকসো আইনের ৬, ১০ এবং ১২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।