প্রাপ্য দাবির ‘শাস্তি’! গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অন্যের জমিতে কাজ করেন মা। দিন রাত পরিশ্রম করেও প্রাপ্য অর্থ হাতে পান না। জমির মালিকের কাছে তাই মায়ের হয়ে দরবার করতে গিয়েছিল ছেলে। বদলে তাকেই অপদস্থ হয়ে ফিরতে হল। টাকা চাওয়ায় ক্রুদ্ধ মালিকের পা চেটে ‘ভুলে’র মাশুল দিতে হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে। সঙ্গে জুটল মারধর। অপমান। এমনকি গাঁজা বিক্রি না করেও সেই অপরাধের দায় নিতে হল ক্যামেরায় ভিডিয়ো রেকর্ডিং চালাকালীন।
উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর ঘটনা। ঘটনাটির বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। যার একটিতে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রকে দেখা যাচ্ছে বাইকে বসে থাকা এক ব্যক্তির সামনে কান ধরে হাঁটু মুড়ে বসে তাঁর পা চাটতে। অপমানে, লজ্জায় সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে কিশোরটির। ভিডিয়োয় তাকে ঘিরে চারপাশ থেকে হাসির আওয়াজ শোনা যায়। একজনকে এমনও বলতে শোনা যায়, যে ‘ঠাকুর বলে ডাক।’ অন্য একটি ভিডিয়োয় ছাত্রটিকে মারধরও করতে দেখা গিয়েছে। যা দেখে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা শুরু করেছেন দেশবাসী।
ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশও। প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পারে, ওই কিশোর সমাজের তথাকথিত নিম্নবর্গীয় বা দলিত শ্রেণিভুক্ত। আড়াই সেকেন্ডের যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই কিশোরের অপরাধ শুধু টাকা চাওয়া নয়। তার অপরাধ, একজন নিম্নবর্গের মানুষ হয়েও উচ্চবর্ণের সামনে মুখ খোলা।
পুলিশ এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই মামলা দায়ের করেছে। পরে ওই কিশোরের অভিযোগের ভিত্তিতে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।