(বাঁ দিকে) মৃতা সুলোচনা এবং পুলিশের হাতে ধৃত অভিযুক্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজি হননি মা। অভিযোগ, তাতেই রেগে গিয়ে নিজের মাকে খুন করে বসলেন পুত্র! তবে এমন ভাবে ঘটনাটা সাজিয়েছিলেন তিনি, যাতে দেখে মনে হয় এটা কোনও ডাকাতের দলের কাজ। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম দিল্লির খায়ালা এলাকায়। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিশের কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। তাতে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তাঁর মাকে কেউ খুন করেছেন। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মায়ের অলঙ্কার।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। ঘরের মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে তারা। তবে তদন্তে নেমে ডাকাতির কোনও লক্ষণ খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। সন্দেহ হয় মৃতার কনিষ্ঠ পুত্রের উপর। তাঁকে লাগাতার জেরা করার সময় ভেঙে পড়েন। স্বীকার করে নেন খুনের কথা।
অভিযুক্তের নাম শাওন। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মৃতার বড় ছেলে কপিলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সেই সময়ই শাওন তাঁর মা সুলোচনাকে জানান তিনিও বিয়ে করতে চান। পাত্রী নিজেই পছন্দ করেছেন। পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, মা ওই পাত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। এমনকি, ধমকে ছিলেন যদি তিনি নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন, তবে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন! তার পর থেকেই মাকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি যখন ফাঁকা ছিল, তখন মায়ের উপর চড়াও হন। মাথায় ভারী কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই খুনের দায় যাতে নিজের উপর এসে না পড়ে সেই কারণে ডাকাতির ছক কষেন সায়ন। মায়ের গা থেকে অলঙ্কার খুলে সরিয়ে ফেলেন। তার পর নিজেই পুলিশকে ফোন করে খুনের খবর দেন। পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তাঁদের একটি গাড়ির মধ্যে অলঙ্কারগুলি রেখে জলে ফেলে দিয়েছিলেন। পুলিশ সেই গাড়ি জল থেকে উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতের বয়ান যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।