ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণ গেল যুবকের। ছবি এক্স (সাবেক টুইটার)
ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির কালকাজ়ি এলাকায়। সমাজমাধ্যমে ঘটনার ভিডিয়ো দেখে আতঙ্কিত অনেকেই।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার প্রকাশকুমার ঝা (৪২) নামে এক ব্যক্তি ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ি আনতে গিয়েছিলেন। এলাকার সেন্ট জর্জ স্কুলে পড়ে তাঁর ছেলে। ছুটি হয়নি তাই অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রকাশ। সে সময় একটি ষাঁড় পিছন থেকে এসে আচমকাই হামলা করে তাঁর উপর। ষাঁড়ের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। তার পর তাঁর শরীরের উপর উঠে ষাঁড়টি রীতিমতো দাপাদাপি চালায়।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ষাঁড়টি প্রকাশকে মাটিতে ফেলে পা এবং শিং দিয়ে ক্রমাগত গুঁতো মারছে। মুখে-বুকে আঘাত করছে। আর যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন প্রকাশ। ষাঁড়ের কবল থেকে বাঁচার জন্য সাহায্য চাইছেন তিনি। কিন্তু কেউই ভয়ে এগিয়ে আসতে সাহস পাচ্ছেন না। বাবাকে বাঁচানোর জন্য প্রকাশের ছেলেও আর্তনাদ করছিল ভিড়ের মধ্যে থেকে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
শেষ পর্যন্ত কয়েক জন পথচারী এসে কোনও রকমে ষাঁড়ের কবল থেকে প্রকাশকে উদ্ধার করেন। তার পর সোজা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় প্রকাশের। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মৃতের পাঁজরের বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙেছে। তা ছাড়াও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রকাশের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রকাশ বিহারের বাসিন্দা। কর্মসূত্রেই পরিবার নিয়ে দিল্লিতে থাকতেন। পরিবারে তাঁর স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে দুই পুত্র। প্রকাশের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। স্থানীয়দের কথায়, এলাকায় এর আগেও এমন ষাঁড়ের হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক জন আহতও হয়েছেন।