প্রতীকী ছবি।
দুই কিশোর-কিশোরীর মাথা কেটে খুন করল এক দোকানদার। খুনের পর তাদের দেহ এবং মাথা পুঁতে রাখল নিজের দোকানের পাশেই! বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সামেরহাট গ্রামে। খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই দোকানকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তির দোকানে বুধবার রাতে কিছু জিনিস কিনতে ১০ বছরের একটি মেয়ে যায়। তার কিছু ক্ষণ পর ১১ বছরের কিশোরও দোকানে পৌঁছয়। দোকানে সে সময় কেউ ছিল না। ওই ব্যক্তি তাদের দু’জনকেই দোকানের পিছনে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই একটা কুড়ুল দিয়ে দু’জনের ধড়-মাথা আলাদা করে খুন করে। তার পর দু’জনেরই দেহ দোকানের কাছেই জড়ো করা বালির নীচে চাপা দিয়ে দেয়। আর মাথাগুলো কাছেই অন্য দু’টি জায়গায় পুঁতে রাখে।
বুধবার দু’জনে কেউ বাড়ি না ফিরলে তাদের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তখনই তদন্তে সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তিকে। গ্রেফতার হতে পারে বুঝতে পেরে পালানোরও চেষ্টা করে সে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে পাচখেরি চক থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
নাগাড়ে বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে ব্রহ্মপুত্র, বিধ্বস্ত অসমে মৃত ৬, ঘরছাড়া কয়েক লক্ষ
নাগাড়ে বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে ব্রহ্মপুত্র, বিধ্বস্ত অসমে মৃত ৬, ঘরছাড়া কয়েক লক্ষ
ধৃত পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে। প্রথমে তদন্তকারীদের মনে হয়েছিল, এটা নরবলি বা ব্ল্যাক ম্যাজিক হতে পারে। কিন্তু পরে তদন্তে উঠে আসে অন্য তথ্য। ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। ধৃত এর আগে ২০০৯ সালে বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে নিজের কাকা এবং আর এক আত্মীয়কেও খুন করেছিল। জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিল। উদ্ধার হয়েছে কুড়ুলটি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।