অসম চুক্তির পর থেকে গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত ২৯ হাজার ৭১২ জন অনুপ্রবেশকারীকে রাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বিধানসভায় এই তথ্য জানান মন্ত্রী কেশব মহন্ত। বিধায়ক তপনকুমার গগৈয়ের প্রশ্নে মহন্ত জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০৮.৬৫ কিলোমিটার কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। বেড়া বসানো বাকি ৭১.৪১ কিলোমিটারে। তার মধ্যে সাড়ে ছয় কিলোমিটার স্থলসীমান্ত। বাকিটা নদী, চর, সেতু বা কালভার্টের অন্তর্ভুক্ত।
স্থলভাগের সাড়ে ছয় কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার করিমগঞ্জ জেলায়। তা নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বাকি তিন কিলোমিটার অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
নাগরিকপঞ্জি উন্নীতকরণের কাজ খুব ধীরে চলছে বলে বিরোধী দলের অভিযোগের জবাবে রাজ্য সরকার জানায়, ৩০ হাজার ২২৯ জন সরকারি কর্মী নথি পরীক্ষার কাজ করছেন। ভুয়ো নথি জমা দেওয়ায় এখন পর্যন্ত ১৭৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্দেহজনক নথি যাচাইয়ের কাজ দ্রুত করার জন্য বিশেষ তদন্ত দল গড়েছে পুলিশ। মোট ৬ কোটি ১৪ লক্ষ জমা পড়া নথির মধ্যে ৫ কোটি ৭৭ লক্ষ নথি পরীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, নাগরিকপঞ্জ নবীকরণের জন্য খরচ ৯০৮ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র দিয়েছে ৪৩৭ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে খরচ হয়েছে ৩৩৪.৫৭ টাকা। রাজ্য সরকার খরচ করেছে ২১৪ কোটি ৪৮ কোটি টাকা। তা পরে কেন্দ্র ফেরত দেবে। ডি-ভোটার সংক্রান্ত আমিনূল ইসলামের প্রশ্নে চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানান, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ জন সন্দেহভাজন ভোটার অসমে রয়েছেন। ভারতীয় বলে ঘোষিত হয়েছেন ৬২ হাজার ৩৮৫ জন ডি-ভোটার।