প্রতীকী ছবি।
রোগের বহর দেখেই জবাব দিয়ে দিয়েছিল একের পর এক হাসপাতাল। বর্ষশেষের আগের রাতে নাজিবও তাঁর জীবনের শেষ প্রহর গুনতে শুরু করে দিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েই দিয়েছিলেন, সব ঠিকঠাক হলেও বাঁচার আশা বড় জোর ৩০ শতাংশ। কারণ রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোগীর হাতে এবং মস্তিষ্কেও। নাজিবকে সেই প্রায় না ফেরার জায়গা থেকে ফিরিয়ে আনলেন চিকিৎসকেরা।
কেরলের কোদুনগাল্লুরের বাসিন্দা নাজিব। বয়স ৫৮। অ্যাওর্টিক অ্যানুরিজমে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এই রোগে তাঁর মাথা এবং হাতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রায়। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকি কিডনি বিকল হওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কেরলের একাধিক হাসপাতাল নাজিবের চিকিৎসা করতে অস্বীকার করে। শেষে একটি হাসপাতাল ঝুঁকি নিতে রাজি হয়। প্রায় ১৬ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারের পর তারা সুস্থ করে তোলে নাজিবকে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় নাজিবের হার্টে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। শেষ হয় রাত ১২টায়। বাইরে যখন গোটা বিশ্ব নতুন বছরকে আহ্বান করতে ব্যস্ত, ৫৮ পার নাজিব হাসপাতালের বিছানায় নতুন জীবনকে ডেকে নিলেন। নাজিবের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জটিল অস্ত্রোপচারের প্রায় এক মাস পর নাজিব এখন অনেকটাই সুস্থ।