ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম বিরাট মিশ্র। প্রতীকী ছবি।
পাড়ার রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল এক যুগল। তাদের আচার-আচরণ ‘দৃষ্টিকটু’ মনে হওয়ায় প্রতিবাদ জানান স্থানীয় এক যুবক। যিনি পেশায় একজন জিম প্রশিক্ষকও। জবাবে ওই যুবককেই রাস্তায় ফেলে বেদম মারধর করল ওই যুগলের ‘বন্ধু’রা। লাঠি, রড, পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হল মাথা। গুরুতর আহত ওই যুবককে পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম বিরাট মিশ্র। তাঁর বয়স ২৭ বছর। পেশায় জিম প্রশিক্ষক বিরাট নিজেও নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন। তবে গত শনিবার তাঁর উপর একসঙ্গে চড়াও হয় সশস্ত্র ৬ জন। তাঁদের সঙ্গে একা পেরে ওঠেননি বিরাট। পুলিশকে বিরাটের এক পরিচিত এবং এলাকারই দোকানদার বান্টি জানিয়েছেন, প্রায় পুরো ঘটনাটিই ঘটে তাঁর চোখের সামনে। বিরাটকে মারধর করতে দেখে বাধা দিতে গিয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু হামলাকারীরা তাঁকেও যথেচ্ছ মারধর করে।
পুলিশকে দেওয়া বয়ানে বান্টি জানিয়েছেন, মণীশ নামে এক যুবক এক মহিলাকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওই এলাকায়। জায়গাটি একটি পাড়ার মতো। দোকানপাটের থেকে বাড়িঘরই বেশি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের বসবাস। সেখানেই একটি বাইকের উপরে বসেছিলেন দু’জনে। পরষ্পরের সঙ্গে প্রকাশ্যেই ঘনিষ্ঠ হচ্ছিলেন, এমনকি একে অপরকে চুম্বনও করছিলেন। তাদের কার্যকলাপ অশালীন মনে হওয়াতেই বাধা দেন বিরাট। দু’জনের মধ্যে বচসা বাধলে মনীশ ফোন করে ডেকে আনেন তাঁর বন্ধুদের। এর কিছু পরেই লাঠি, রড নিয়ে এলাকায় এসে উপস্থিত হয় আরও ৫ জন যুবক। তারা সোজা এসে চড়াও হয় বিরাটের উপরে। তাঁকে ধরাশায়ী করে মাটিতে ফেলে দেওয়ার পর পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় মাথায়। ঘটনাটি দেখে বান্টি-সহ পাড়ার অনেকেই ছুটে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে গুরুতর আহত হয়েছেন বিরাট। পুলিশে খবর দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি বিরাটকে।
এই ঘটনায় পুলিশ ছ’জনকে গ্রেফতার করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ঘটনার মূল অভিযুক্ত মণীশ জানিয়েছেন, তিনি বাইকের পিছনের আসনে বসে সামনের আসনে তাঁর প্রেমিকাকে বসিয়ে বাইক চালানো শেখাচ্ছিলেন। তাতেই আপত্তি তোলেন বিরাট।