Crime

প্রমাণপত্র থেকে চাকরি, সবই চালায় দালালচক্র

অসমের করিমগঞ্জ স্টেশনে ফেব্রুয়ারি মাসে রোহিঙ্গাদের একটি দল ধরা পড়েছিল। তখনই টনক নড়ে পুলিশের। তৈরি হয় এসটিএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু মিলিয়ে গত কাল এনআইএর অভিযানে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশচক্রে ধৃত ৪৭ জনের সংখ্যাটা আদতে হিমশৈলের চূড়ামাত্র। রাজস্থান এবং জম্মু-কাশ্মীরে কেউ ধরা না পড়লেও এনআইএ তদন্তের আওতায় রয়েছে ওই দুই রাজ্যও। অসম পুলিশের মতে, সীমান্তের দুই পার তো বটেই, দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা দালালচক্র অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো ভারতীয় প্রমাণপত্র তৈরি করে দেওয়া থেকে শুরু করে চাকরির জোগাড় পর্যন্ত সবই করে চলেছে অবলীলায়।

Advertisement

অসমের করিমগঞ্জ স্টেশনে ফেব্রুয়ারি মাসে রোহিঙ্গাদের একটি দল ধরা পড়েছিল। তখনই টনক নড়ে পুলিশের। তৈরি হয় এসটিএফ। জেরায় জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অংশে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়মিত পাঠানো ও কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া চলছে। তাই তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারী দলে অসমের এসটিএফের ১৭টি দল সাহায্য করে। এডিজিপি হরমিত সিংহ বলেন, প্রথমেই রোহিঙ্গাদের জন্য দালালরা ভারতীয় হিসেবে নকল প্রমাণপত্র তৈরি করে ফেলে। এর পর তাদের দেশে ঢুকিয়ে ট্রেনে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেয় বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত ধর্মনগর ও কুমারঘাট থেকে ট্রেনে তাদের কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে তারা কোথায় থাকবে, কোথায় কাজ করবে, সে সব আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।

উল্লেখ্য, মণিপুরে সংঘর্ষের আগে সেই রাজ্যের সীমান্ত পার করেও রোহিঙ্গাদের ভারতে ঢোকার বড় চক্র উৎখাত হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement