দেশে প্রথম সিটি স্ক্যান হল পাইথনে। ফাইল চিত্র
মাথায় চোট পেয়েছেন। চিকিত্সক সিটি স্ক্যানের পরামর্শ দিয়েছেন। বসে আছেন ডাকের অপেক্ষায়। ডাক আসতে ভিতরে ঢুকেই আপনার চোখ ছানাবড়া! এ কি! সিটি স্ক্যানের টেবলে শুয়ে এক বিশাল পাইথন! কী ব্যাপার? আসলে গুরুতর আহত পাইথনটিকে নিয়ে আসা হয়েছে স্ক্যান করানোর জন্য। সাপের সিটি স্ক্যানের এমনই এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল রবিবারের ভুবনেশ্বর। এক দল স্বর্প বিশেষজ্ঞর মতে, যা দেশে প্রথম।
দিন চারেক আগে কেওনঝাড়ের আনন্দপুর এলাকা থেকে আট ফুট লম্বা একটি বার্মিজ পাইথন উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মীরা। গুরুতর আহত পাইথনটিকে স্নেক হেল্পলাইনের হাতে তুলে দেন তারা। ওডিশার এই সংগঠনটি রাজ্য জুড়ে সাপ উদ্ধার করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। আহত পাইথনটিকে প্রথমে ভুবনেশ্বরের পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। করা হয় এক্স রে। কিন্তু তাতে আঘাতের পরিমাণ বা শরীরের ঠিক কোথায় আঘাত লেগেছে তা বোঝা যাচ্ছিল না। এর পরেই চিকিত্সকেরা হেল্পলাইনের সদস্যদের বলেন, সাপটির সিটি স্ক্যান করানোর কথা। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে তো সেই সুবিধা নেই। তা হলে উপায়?
আরও পড়ুন: সমুদ্রের তলায় আস্ত ‘শহর’ তৈরি করল অক্টোপাসরা!
কোনও রকমে একটি বেসরকারি সংস্থাকে সাপের সিটি স্ক্যান করাতে রাজি করান তারা। কিন্তু গোল বাধে ৮ ফুট পাইথনটিকে স্ক্যানের ট্রে-তে শোয়ানো নিয়ে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল সাপটিকে অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হবে। কিন্তু সাপটির শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিতসকেরা ঝুঁকি নিতে রাজি হননি। আর তা ছাড়া এর আগে এক বারই সাপের অ্যানাস্থেশিয়া করা হয়েছিল। তা-ও সেটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়।
তখন এক অন্য উপায় মাথায় আসে চিকিত্সকদের। স্ক্যান টেবলে সাপটিকে মেডিকেটেড টেপ দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। স্ক্যান করে দেখা যায়, একাধিক জায়গায় আঘাত রয়েছে সাপটির। রয়েছে মাথায় আঘাত।
স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পেয়ে যথাযথ চিকিত্সা শুরু হয়েছে সাপটির।