National News

চার বছরের ছেলে ‘যৌন’ নিগ্রহে অভিযুক্ত!

গত সপ্তাহের শুক্রবার দিল্লির দ্বারকায় এই ঘটনাটি ঘটে। মেয়েটি তার মা-কে জানিয়েছে, ওই ছাত্রটি তার প্যান্ট খুলিয়ে আঙুল এবং পেন্সিল দিয়ে বারংবার তার যৌনাঙ্গে আঘাত করে। ক্লাসরুমের ভিতরে এবং শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়া দিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রোজকার মতো কিন্ডারগার্টেন স্কুলে গিয়েছিল চার বছরের মেয়েটি। কিন্তু, সে দিন বাড়ি ফিরেছিল যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা নিয়ে। বাড়িতে এসে মাকে বলেওছিল সে কথা। কিন্তু, প্রথমে তিনি বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব দেননি। পরে যন্ত্রণা বাড়তে থাকায় মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, স্কুলে এক সহপাঠী তার যৌনাঙ্গে আঙুল এবং পেন্সিল দিয়ে বারংবার আঘাত করেছে!

Advertisement

এর পর মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান বাবা-মা। চিকিৎসক জানান, ওই নাবালিকার যৌনাঙ্গে বারংবার আঘাতের ফলে সেখানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। যন্ত্রণার কারণ সেটাই। তিনি ওষুধপত্রও দেন। এর পর তাঁরা দিল্লির দ্বারকার বাসিন্দা ওই দম্পতি মেয়ের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানে জানানোর পাশাপাশি পুলিশের কাছেও তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন।

আরও পড়ুন:

Advertisement

অধস্তনের মেয়েকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ভারতীয় সেনার কর্নেল

নারী সুরক্ষায় দেশের ৮ শহরে বসবে সিসিটিভি, পরিকল্পনা কেন্দ্রের

গত সপ্তাহের শুক্রবার দিল্লির দ্বারকায় এই ঘটনাটি ঘটে। মেয়েটি তার মা-কে জানিয়েছে, ওই ছাত্রটি প্যান্ট খুলিয়ে আঙুল এবং পেন্সিল দিয়ে বারংবার যৌনাঙ্গে আঘাত করে। ক্লাসরুমের ভিতরে এবং শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। মেয়েটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, ছেলেটির সঙ্গে পেরে ওঠেনি। সেই সময় আশপাশে শিক্ষক বা স্কুলের কোনও কর্মচারী ছিলেন না বলেই মেয়েটি জানিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বাবা-মা।

অভিযুক্ত শিশুর বয়স চার বছর বলেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিভ্রান্ত পুলিশ। এমনকী যে শিশুর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে তার বাবা, মা-ও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। চার বছরের শিশু কী ভাবে এমনটা করতে পারে? মনোবিদদের মতে কৌতূহলবশতই ওই ছাত্র এমন কাজ করেছে। কারণ, এই বয়সে কোনও শিশুর যৌন বোধ তৈরি হওয়ার কথা নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কেদার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমার যত দূর মনে হয়, কৌতূহলের কারণেই ওই ছেলেটি এমনটা করেছে। হতে পারে, সে কোনও জায়গায় কাউকে এমনটা করতে দেখেছে। সেটা তার বাবা-মা হোক বা অন্য কেউ। আবার এমনটাও হতে পারে, বড় কেউ তার পাশে বসে পর্নগ্রাফি দেখছিলেন। শিশুটি তা দেখেছে। আর সেটাই তার মনে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।’’ তাঁর মতে, চার বছর বয়সে সাধারণত শিশুদের যৌনবোধ তৈরি হয় না। তিনি বলেন, ‘‘অনেক শিশুর ক্ষেত্রে সময়ের আগেই যৌনবোধ তৈরি হয়। কিন্তু, আমার এত দিনকার অভিজ্ঞতায় চার বয়সে তেমনটা হয়েছে বলে দেখিনি। শুনিওনি।’’

পুলিশের কাছে ওই ছেলে শিশুটির নামে যৌন নিগ্রহের মামলা দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ধর্ষণের একটি মামলা রুজু করেছে। কিন্তু অভিযুক্তের বয়স যে হেতু খুবই কম, তাই এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র দীপেন্দ্র পাঠক বলেছেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধি সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের শাস্তির ক্ষেত্রে কিছুটা সুরক্ষা দেয়। আমরা সেই ক্ষেত্রগুলো খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি, অতি স্পর্শকাতর এই বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্ব দিয়েও দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement