ছবি : টুইটার থেকে।
ধুমধাম করে সেতুটির উদ্বোধন হয়েছিল। ফিতে কেটে জনতার জন্য সেটি খুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের এক বিধায়ক। তার ঠিক তিন দিনের মাথায় ভেঙে পড়ল সেটি।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের উদুপির মালপে সৈকতে। সেখানে পর্যটকদের জন্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে বানানো হয়েছিল সমুদ্রে ভাসমান সেতু। প্রচারে কর্নাটক সরকার বলেছিল, এই সেতুতে ঢেউয়ের মাথায় চড়ে হাঁটতে পারবেন মানুষ। ঢেউয়ের ওঠা-পড়ার দুলুনি বোঝা যাবে সেতুর উপরে হাঁটতে হাঁটতেই। গত শুক্রবার সেতুটির উদ্বোধন হয়। দু’দিন পর সোমবারই দেখা যায় সমুদ্রে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে রয়েছে সেতুটির বিভিন্ন অংশ। ঢেউয়ের তোড়ে সেতুর দড়ি ছিঁড়ে গিয়েছে। প্রায় ১০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝখানের অনেকখানি অংশই আর নেই। সেখানে আছড়ে পড়ছে ঢেউ।
কর্নাটকের বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট উদ্বোধন করেছিলেন সেতুটির। ঘটনাচক্রে 'রামায়ণ'-এ সমুদ্রে ভাসমান সেতুর যে বর্ণনা রয়েছে, তা-ও নির্মিত হয়েছিল এক 'রঘুপতি'র জন্যই। 'রামায়ণ' অনুসারে, লঙ্কায় সীতা উদ্ধারের জন্য সেতু বানাতে 'রাম' নাম লিখে সমুদ্রে পাথর ভাসিয়ে দিয়েছিল বানর সেনারা। সেই পাথর ভেসে থেকেছিল সমুদ্রে। তবে কর্নাটক সরকারের ওই সেতু সমুদ্রে ভেসে থাকেনি।
বিধায়ক রঘুপতি অবশ্য তার দায় চাপিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র উপরেই। তিনি বলেছেন ঘূর্ণিঝড়ে উত্তাল সমুদ্রই সেতুভঙ্গের কারণ। যদিও সেতুটি লিজ নিয়েছেন যিনি, তাঁর দাবি, ঝড়ে সেতুটি নষ্ট হওয়ার খবর আসলে গুজব। ঝড়ের কথা ভেবে আগাম সেতুটি খুলে দিয়েছেন তাঁরাই।