পরিচারিকার জন্মদিন পালন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তাঁকে চমকে দেওয়ার জন্য আগে থেকেই কেক এনে রাখা হয়েছিল। দরজা খুলে ঢুকতেই পরিচারিকাকে কাছে ডেকে নেন গৃহকর্ত্রী। বসার ঘরে নিয়ে গিয়ে টেবিলের উপর রাখা ‘হ্যাপি বার্থডে’ লেখা কেকটির দিকে পরিচারিকাকে ইশারা করেন গৃহকর্ত্রী। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
হলুদ রঙের একটি কেক। তার উপর নাম লেখা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পরিচারিকা। গৃহকর্ত্রী জানতে পেরেছিলেন যে, তাঁদের পরিচারিকার জন্মদিন খুব কাছেই। সেই মতো পরিকল্পনাও করেছিলেন তাঁকে একটা চমক দেওয়ার জন্য। যথারীতি সেই দিনক্ষণ হাজির হতেই পরিচারিকাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে আসতে বলেন গৃহকর্ত্রী। আগে থেকেই একটি কেক কিনে রেখেছিলেন তাঁরা।
পরিচারিকাকে নিয়ে কেক কাটেন। সকলে এক সঙ্গে ‘হ্যাপি বার্থডে’ গেয়ে ওঠেন। শুধু তাই নয়, পরিচারিকাকে নিজে হাতে কেক খাইয়ে দেন গৃহকর্ত্রী। যেখানে বছরভর পরিবারটির খেয়াল রাখেন এই পরিচারিকা, এক দিন তাঁর জন্য ব্যয় করতে কোনও সঙ্কোচবোধ করেননি গৃহকর্ত্রী। আর সেটা দিন বিশেষ দিন হয়, তা হলে তো কথাই নেই। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, শুধু কেক খাইয়ে দেওয়াই নয়, পরিচারিকাকে চা বানিয়েও খেতে দেওয়া হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “ওঁদের উপহারের দরকার হয় না। দরকার শুধু একটু ভালবাসার। বিশেষ করে এমন দিনে যদি একটু ভালবাসা পায়, তা হলে ওঁরাও খুশি হয়। আমরা সেটাই করতে চেয়েছি।” আরও লেখা হয়েছে, “শহরে স্বামীকে নিয়ে থাকে আমাদের পরিচারিকা। জন্মদিন নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিল। ওঁর জন্মদিন জানতে পেরে কেক কিনে নিয়ে এসে আমরা সকলে মিলে উদ্যাপন করলাম। ছোট ছোট জিনিসই অনেকের মুখে হাসি ফোটায়। এমন হাসি বছরভর লেগে থাকুক।”