মৃত যুবকের নাম সকেত দণ্ডভাটে। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তিনি। সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটে। —ফাইল চিত্র।
পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩০ বছরের এক যুবকের। তাঁকে মৃত্যুর পরও ‘বাঁচিয়ে রাখলেন’ তাঁর চিকিৎসক বাবা-মা। মৃত পুত্রের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে ১১ জনের জীবন দান করলেন তাঁরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সকেত দণ্ডভাটে। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রের পালঘরে। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তিনি। সেখানেই শুক্রবার একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। মহারাষ্ট্রের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) জানিয়েছে, সকেতের বাবা চিকিৎসক বিনীত দণ্ডভাটে এবং মা চিকিৎসক সুমেধা দণ্ডভাটে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁদের মৃত পুত্রের অঙ্গদান করার। এই সিদ্ধান্তে ১১ জন মরণাপন্ন রোগী নতুন জীবন পাবেন।
আইএমএ-র মহারাষ্ট্র শাখার সচিব চিকিৎসক সন্তোষ কদম জানিয়েছেন, সকেতের বাবাও একজন আইএমএ-র আধিকারিক। পাঁচ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের পুত্র সকেতের। সদ্যপুত্রহারা ওই দম্পতি চেয়েছেন, ওই ১১ জন মরণাপন্ন রোগীর নতুন জীবনের মধ্যে দিয়েই তাঁদের সন্তান বেঁচে থাকুক। তাই সকেতের অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকেতের স্ত্রী অপূর্বা দণ্ডভাটের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে।
কিছু দিন আগে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে কেরলেও। ১৬ বছরের এক ছাত্রের মৃত্যুর পর তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তাঁর বাবা-মা। সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার পর নতুন জীবন পান ৬ জন। ওই ছাত্রেরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের নাম ছিল সারং।
গত ১৫ মে বেঙ্গালুরুতেই পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক বিদেশি পর্যটকের। তাঁর পরিবারও তাঁর অঙ্গদানে সম্মত হয়েছিলেন। যা ৬ জনের জীবন বাঁচায় বলে জানিয়েছে আইএমএ।