জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। ছবি সৌজন্য টুইটার।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বুধবার দু’দিনের সফরে এল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০টি দেশের একটি প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেখানকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের ঘটনাটি আগেই আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছেছিল। তার পরেও জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বার বার সরব হয়েছে দেশের বিরোধী দলগুলি। মেহবুবা মুফতি, ফারুক এবং ওমর আবদুল্লার মতো শীর্ষ স্তরের নেতাদের ‘গৃহবন্দি’ করে রাখার অভিযোগ ওঠে। এই সুযোগে পাকিস্তানও বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়। যদিও কেন্দ্র বার বারই দাবি করেছে, ৩৭০ বিলোপের পর জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি শুধরেছে।
কিন্তু তার পরেও ক্রমে চাপ বাড়ছিল ভারতের উপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত সরকার যা দাবি করছে, বাস্তবে আদৌ তার সঙ্গে কোনও মিল আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের এই সফর। সূত্রের খবর, ওই প্রতিনিধি দলটি সেখানকার জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নতুন সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের বিষয়টি সামনে রেখেই গণতন্ত্রের উপর সেখানকার মানুষের ভরসার বিষয়টি প্রতিনিধি দলের সামনে তুল ধরার চেষ্টা করা হবে বলে খবর। পাশাপাশি, এটাও বোঝানোর চেষ্টা হবে যে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা ভারত চাইছে না।
শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের এই সফরে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিও তুলে ধরার চেষ্টা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এর আগেও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক মহল। ২০১৯-এর অক্টোবরে দিল্লির আমন্ত্রণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২৭ জন সদস্য জম্মু-কাশ্মীর সফরে এসেছিলেন।