জাকির হোসেন। ফাইল ছবি।
ঝাড়খণ্ডে উদ্ধার হল উত্তর দিনাজপুরের এক পরিযায়ী নির্মাণ শ্রমিক জাকির হোসেনের (৩৪) দেহ। বাড়ি ডালখোলার চাঙাটুলি গ্রামে। তাঁকে খুনে জড়িত অভিযোগে বিদেশ মার্ডি নামে ঝাড়খণ্ডের এক যুবককে ধরেছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা জেলার চম্পানগরের জঙ্গল থেকে গত ১১ অক্টোবর জাকিরের দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার তাঁর দেহ গ্রামে পৌঁছয়। ইসলামপুর পুলিশ-জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেনডুপ শেরপা বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তদন্ত চলছে।’’
২৫ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে জাকির বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে রওনা হন। বছর দু’য়েক ধরে সেখানেই কাজ করতেন। পরিবারের দাবি, ২৬ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফোন করে তিনি ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। জানান, কে বা কারা তাঁর টাকা কেড়ে নিয়েছে এবং আরও টাকা না দিলে মেরে ফেলবে। কিছু পরে তাঁরই ফোন থেকে অপরিচিত এক জন ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে ‘মুক্তিপণ’ হিসেবে। পরিবারের লোকেরা টাকা জোগাড়ের চেষ্টা শুরু করেন। তবে পাঠাতে পারেননি। জাকিরের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগও করতে পারেননি। তাঁরা ডালখোলা থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ জানতে পারে, ফোন ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিল। ঝাড়খণ্ডের বিদেশ মার্ডির অ্যাকাউন্টে আগে টাকা পাঠিয়েছেন জাকির। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে বিদেশকে গ্রেফতার করে জানতে পারে, ২৮ সেপ্টেম্বর জাকিরকে শ্বাসরোধ করে মেরে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়।
জাকিরের বাড়িতে মা-বাবা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে রয়েছেন। জাকিরের বাবা মহম্মদ মুসা এ দিন বলেন, ‘‘ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে কারণ বুঝতে পারছি না।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, জাকির পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করার পাশাপাশি, ভিন্ রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহও করতেন। সেই সূত্রেই ঝাড়খণ্ডের বিদেশের সঙ্গে জাকিরের পরিচয় হয়। পুলিশের দাবি, জাকির বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা বললেও তাঁকে ঝাড়খণ্ডে ডেকে নেয় বিদেশ। সেখানে টাকা লেনদেন নিয়ে গোলমালের জেরে, এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।