arrest

Arrest: কিশোরীকে নিয়ে পালাতে গিয়ে হাজতে বাংলাদেশি

পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে দেবকুমার পালিয়ে পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে। রবিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে পেট্রাপোল থানা। সোমবার ধৃত দেবকুমারকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২২ ০৭:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ও-পার বাংলার এক জন আর অন্য জন এ-পারের। সংযোগসেতু বলতে প্রেম। কাঁটাও ছিল। মেয়েটি নাবালিকা। তারই টানে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এ দেশে এসে গারদে স্থান হল এক বাংলাদেশি যুবকের। দেবকুমার মহন্তি নামে ওই যুবকের বাড়ি বাংলাদেশের শেরপুর বগড়ায়। কলকাতার এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে তাকে রবিবার বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। তার আগে, শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

পুলিশি সূত্রের খবর, বেলেঘাটার এক বাসিন্দা ৩ মে থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর শ্যালিকার ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়ে নিখোঁজ। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ছাত্রীর ফেসবুক দেখে জানতে পারে, তার সঙ্গে মাস তিনেক আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের দেবকুমারের। পেশায় ক্যাবচালক দেবকুমার নিজেকে গোয়েন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিল। নাবালিকা তার মাসির বাড়িতে থাকত।

তদন্তকারীরা জানান, ২৮ এপ্রিল নাবালিকার সঙ্গে দেখা করতে দেবকুমার কলকাতায় আসে। দু’জনে ঠিক করে, তারা বাংলাদেশে চলে যাবে। নাবালিকাকে নিয়ে ২ মে দেবকুমার প্রথমে যায় রানাঘাটে অন্য এক ফেসবুক বন্ধুর কাছে। সেখানে ওই কিশোরীকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক দিন থাকে তারা। সেখান থেকে চলে যায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক আত্মীয়ের কাছে। কিন্তু সেই আত্মীয় পুলিশের ঝামেলা এড়াতে তাদের রাখতে রাজি হননি।

Advertisement

নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ পেয়ে বেলেঘাটা থানার ওসি প্রেমজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে সাব-ইনস্পেক্টর প্রতাপ কুণ্ডু তদন্তে নামেন। জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক ও মেয়েটি বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এক পুলিশকর্তা জানান, দেবকুমার বৈধ ভিসা নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশে এসেছিল। তাই বাংলাদেশে ফিরতে কোনও সমস্যা ছিল না তার। কিন্তু গোল বাধে নাবালিকাকে নিয়ে। একে সীমান্তে কড়াকড়ি। তার উপরে নাবালিকার পাসপোর্ট নেই। ঠিক হয়, ঘুরপথে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশে। তার জন্য একাধিক লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। তাতেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যায়। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে অভিযুক্ত যুবক ইন্টারনেট কলে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।

হিলি সীমান্ত দিয়ে ওই যুগলের বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে তদন্তকারীরা স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শনিবার রাতে ওই নাবালিকাকে গঙ্গারামপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে দেবকুমার পালিয়ে পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে। রবিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে পেট্রাপোল থানা। সোমবার ধৃত দেবকুমারকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement