রোগীদের অনেকে দু’দিন পর বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। তবে অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাঁরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রতীকী ছবি।
শনিবার থেকেই রাজস্থানের কিছু গ্রামে একের পর এক গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। বুধবার জানা গেল, সেই সংখ্যা গত চারদিনে ১০০ ছাড়িয়েছে। ৩ ডিসেম্বর থেকে ওই সমস্ত গ্রামের ৮৬ জন প্রাপ্তবয়স্ককে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে। ৪৮ জন শিশু-কিশোর এবং কিশোরীকেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তবে সম্প্রতি গ্রামে একই ভাবে অসুস্থ ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে।
রাজস্থানের কারাউলি জেলার ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ধারাবাহিক অসুস্থতার নেপথ্যে কোনও রোগ নয়, এলাকার পানীয় জলই মূল কারণ। কোনও কারণে পানীয় জল বিষাক্ত হওয়ায় এবং সেই জল গ্রামবাসীরা খাওয়ায় তাঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাউলির প্রিন্সিপাল চিফ মেডিক্যাল অফিসার পুষ্পেন্দ্র গুপ্তা জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকেই বিষাক্ত পানীয় জল খেয়ে কারাউলির বড়াপদা, কাসাইবড়া, শাহগঞ্জ এবং বায়ানিয়া গ্রামে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মে়ডিক্যাল অফিসার বলেন, ‘‘৮৬ জনকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৪৮ জন অল্পবয়সিকেও ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। এঁরা ওই জল খেয়ে বমি এবং ডায়োরিয়াজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।’’
তবে মঙ্গলবার বিষাক্ত জল খেয়ে অসুস্থ এক ১২ বছরের কিশোরের মৃত্যু হওয়ায় পরিস্থিতি বদলায়। মৃত কিশোরের নাম দেবকুমার। শাহগঞ্জের বাসিন্দা ওই কিশোর সোমবার রাতে অসুস্থ হওয়ার পর বাড়িতেই চিকিৎসাধীন চলছিল তার। কিন্তু মঙ্গলবার আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
এলাকার সরকারি হাসপাতাল জানিয়েছে, এই ধরনের অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের অনেকে দু’দিন পর বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। তবে অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাঁরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকার জল কী ভাবে দূষিত হল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।