ফাইল চিত্র
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ৯৫ শতাংশ কর্মীর শরীরে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি। এই হারের নিরিখে উপত্যকার স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষের চেয়েও এগিয়ে আছেন পুলিশেরা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ১০টি জেলা জুড়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল শ্রীনগরের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ। তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
কোনও সংক্রমণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার যত শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাকে বলে সেরোপ্রিভ্যালেন্স। গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম খান জানান, উপত্যকার পুলিশবাহিনীর ক্ষেত্রে এই সেরোপ্রিভ্যালেন্স ৯৫ শতাংশ। সেখানে উপত্যকার স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ওই হার ৯১ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হারের সঙ্গে টিকাকরণের বিষয়টিও সরাসরি সংযুক্ত। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশবাহিনীর প্রায় ১০০ শতাংশেরই টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।
সমীক্ষাটির দাবি, কাশ্মীর উপত্যকায় সাত বছর ও তার বেশি বয়সিদের মধ্যে সেরোপ্রিভ্যালেন্স এখন ৮৪ শতাংশ, যা জাতীয় হার ৬৭ শতাংশের চেয়েও বেশি। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে, ভারতীয় জনতার মধ্যে করোনার বিরুদ্ধে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ গড়ে উঠেছে বলেই কি ইঙ্গিত দিচ্ছে সমীক্ষাটি? কারণ কোনও এলাকার অন্তত ৬০ শতাংশ জনসংখ্যার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠলে ধরে নেওয়া হয়, ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়ে গিয়েছে। যদিও এ নিয়ে জাতীয় স্তরে সাম্প্রতিক কোনও সমীক্ষা হয়নি। পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে হার্ড ইমিউনিটির তত্ত্বেও এখন খুব একটা ভরসা রাখছেন না বিশেষজ্ঞেরা। গত জুলাইয়ের ওই সমীক্ষাটি আরও বলছে, উপত্যকায় ৪৫ বছর ও তার বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ৭ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে এই হার ৭৮ শতাংশ। ফলে ভাগে ভাগে উপত্যকায় স্কুল চালু করে দেওয়া যায় কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছে
এই সমীক্ষা।
গত মাসে পঞ্চম বার সেরো সমীক্ষা চালিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভাও। ২৪টি ওয়ার্ড থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সি বাসিন্দাদের ৮৬৭৪টি নমুনা নেওয়া হয়েছিল ওই সমীক্ষার জন্য। দেখা গিয়েছে, মোট নমুনার ৮৬.৬৪ শতাংশেই অ্যান্টিবডি রয়েছে। যাঁরা টিকার একটি বা দু’টি ডোজ় নিয়েছেন, তাঁদের ৯০.২৬ শতাংশের নমুনায় মিলেছে অ্যান্টিবডি। যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৯.৮৬ শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বাণিজ্যনগরীর মহিলাদের ক্ষেত্রে সেরোপ্রিভ্যালেন্স যেখানে ৮৮.২৯ শতাংশ, সেখানে পুরুষদের মধ্যে ওই হার অনেকটাই কম, ৮৫.০৭ শতাংশ। তবে সব এলাকাতেই সেরোপ্রিভ্যালেন্স বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেশ অনেকটা বেড়ে ৩৪ হাজার পেরিয়েছে। তবে মৃত্যু গত কালের চেয়ে কম।