প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
তিন বছরের শিশু হোক বা ৯০ বছরের বৃদ্ধা। লালসার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। সোমবার দিল্লির নজফগড়ের চাওলা এলাকায় ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন ৯০ বছরের এক বৃদ্ধা। মঙ্গলবার সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিয়াল। বৃদ্ধাকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকাল ৫টা নাগাদ বাড়ির বাইরে গোয়ালার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই বৃদ্ধা। তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি এসে বৃদ্ধাকে জানায়, আজ গোয়ালা আসতে পারবে না। তার সঙ্গে গেলে দুধ পাওয়া যাবে বলেও বৃদ্ধাকে জানিয়েছিল অভিযুক্ত। এর পরই অভিযুক্ত বৃদ্ধাকে নিয়ে একটি ফার্ম এলাকায় নিয়ে যায় ও সেখানে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
অত্যাচার শুরু করলে বৃদ্ধা কাঁদতে থাকেন। কাকুতি মিনতি করে বলেন, তিনি ঠাকুমার বয়সী। এই আকুতিও অভিযুক্তকে ঘৃণ্য কাজ করা থেকে বিরত করতে পারেনি। বৃদ্ধা বাধা দিলে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। বৃদ্ধার চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। তার পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীরা দেখেন বৃদ্ধার দেহ থেকে রক্তপাত হচ্ছে। তাঁরা বৃদ্ধার বড় ছেলেকে খবর দেন। তার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অত্যাচারিতাকে। মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও বৃদ্ধার দেহে, বিশেষত গোপনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন ওই বৃদ্ধা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৩২৩ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সোনু। ৩৩ বছরের সোনু রেওলা খানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পাহাড় চুড়ো খুইয়ে যুদ্ধের হুমকি চিনের, ফের গুলি নিয়ন্ত্রণরেখায়
ঘটনার কথা শুনে মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের একটি দল। সেই দলে ছিলেন কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিয়াল। এই ঘটনার পর নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ছ’মাসের মেয়ে থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধা, দিল্লিতে কেউ নিরাপদ নয়। যে রকম ট্রমার মধ্য দিয়ে মহিলাকে যেতে হয়েছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছে অপরাধী মানুষ নয়। আমি আজ ওঁর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি যাতে ন্যায়বিচার পান তা আমরা নিশ্চিত করব।’’ এই মামলার দ্রুত শুনানি করে ছ’মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফের অনেকটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও হাজারের বেশি