তীব্র গরমে পুড়ছে উত্তর ভারত। ছবি: পিটিআই।
এখনই গরমের দাপট থেকে রেহাই পাবে না উত্তর ভারতের বেশির ভাগ রাজ্য। এমনই পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। আগামী পাঁচ দিন দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতে আগামী পাঁচ দিন তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রাজস্থানের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জয়সলমের লাগোয়া ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বৃহস্পতিবারই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে রাজ্যে গত কয়েক দিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের তিন জেলায় গরমের কারণে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, বালতোরা এবং জালোরে গরমের কারণে মৃত্যু হয়েছে আট জনের।এক জনের মৃত্যু হয়েছে জয়সলমেরে। রাজ্যের মধ্যে বারমেরে গরম ছিল সবচেয়ে বেশি, ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পরই ছিল জালোর। সেখানে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই তাপমাত্রা ৫০ ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজস্থানের পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রির উপরে। রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তাপপ্রবাহের চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গরমের দাপট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও তুঙ্গে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই দিন ২৩৭ গিগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল। দিল্লিতে বিদ্যুতের চাহিদা ৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছেছে। একই ছবি মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের। কেন্দ্রীয় জল কমিশন আবার জানিয়েছে, গরমের কারণে দেশের ১৫০টি প্রধান জলাশয়ের জলস্তর তলানিতে ঠেকেছে। দিল্লিতে যমুনার জলস্তর কমে গিয়েছে। ফলে বহু এলাকায় জল সরবরাহে প্রভাব পড়ছে।