প্রতীকী ছবি।
সরকারি নিয়মবিধি অনুসারে বিহারে মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। অথচ সেই মদেরই ‘অনুপ্রবেশ’ অনেকাংশে ওই রাজ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের অন্তরায় হতে পারে বলে আঁচ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেই জন্যই তাঁরা বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়ে অনেকটা সময় ব্যয় করেন। তাঁদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বিহারে ৫.৬০ লক্ষ লিটার মদ উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারদর প্রায় ন’কোটি টাকা।
প্রথম দফায়, ২৮ অক্টোবর বিহারে ৭১টি বিধানসভা আসনে ভোট। ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নির্বাচনী বিধি বলবৎ হয়ে যায়। সে-দিন থেকে বুধবার পর্যন্ত বিহারে ৫.৬০ লক্ষ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের গোটা লোকসভা নির্বাচন পর্বে এর তুলনায় অনেক কম মদ (প্রায় ১.২৫ লক্ষ লিটার) উদ্ধার হয়েছিল। নির্বাচনী বিধি জারির এক মাস পূর্ণ হওযার আগেই বিধানসভা ভোটে তা কয়েক গুণ বেড়েছে এবং সেটা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিহারের নির্বাচন পরিচালকেরা।
মদের পাশাপাশি বিহারে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বেআইনি নগদ অর্থ (প্রায় ১৪ কোটি টাকা) এবং প্রায় ১০০ কেজি সোনা-রুপো। রুপোই বেশি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার কেজি মাদকও। সব মিলিয়ে নির্বাচনী বিধি জারির মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার সামগ্রী। মিলেছে ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের নেপালি অর্থও।
আরও পড়ুন: ‘বফর্সে অন্তর্ঘাত’, দাবি প্রাক্তন সিবিআই কর্তার
আরও পড়ুন: কোয়াড-এর পাল্টা জোট গড়ছে চিন
ভোটে নগদ, মদ বা অন্য সামগ্রী ব্যবহার বেআইনি। তা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নির্বাচনে তা ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছে। খরচের নিরিখে এ বার বিহারে ৯১টি বিধানসভা কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে কমিশন। সেই কাজ করছে জন্য ৯৫০ স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিম আর ৮৮০টি ফ্লাইং স্কোয়াড। ইতিমধ্যেই বিহারে নির্বাচনে ৬৭ জন অর্থব্যয়-পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন সদন। সব কিছুর উপরে নজর রাখছেন বিহারে নিযুক্ত দুই বিশেষ অর্থব্যয়-পর্যবেক্ষক, প্রাক্তন আইআরএস অফিসার মধু মহাজন এবং বিআর বালকৃষ্ণন।