প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতির অভিঘাতে যাত্রী পরিবহণে ভারতীয় রেলের আয় কমেছে প্রায় ৮৭ শতাংশ। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, গত বছর এই খাতে আয় হয়েছিল ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এ বছর তা নেমে এসেছে ৪,৬০০ কোটিতে।
ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সিইও বিনোদকুমার যাদব শুক্রবার জানান, করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে খাদ্যশস্য, সার-সহ কিছু পণ্যের পরিবহণ বেড়েছে। তা থেকে যাত্রী পরিবহণ ক্ষেত্রের ক্ষতি কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।
আনলক পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ে ৮৮ শতাংশ, কলকাতায় ৬০ শতাংশ এবং চেন্নাইয়ে ৫০ শতাংশ লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানান তিনি।
খাতায় কলমে গত বছরের তুলনায় যাত্রী পরিবহণে ৪৮,৪০০ কোটি টাকা আয় কমলেও মূদ্রাস্ফীতি জনিত হিসেব ধরলে তা আরও বেশি বলে রেল দফতর সূত্রের খবর। বিনোদ অবশ্য শুক্রবার জানান, রেল তার নিজস্ব আয় থেকেই রক্ষণাবেক্ষণ-সহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
শুক্রবার বিকেলে রেলওয়ে বোর্ডের বৈঠকে ‘জাতীয় রেল পরিকল্পনা’র চূড়ান্ত খসড়া পেশ হয়। আগামী বছরের গোড়ায় তা অনুমোদনের সম্ভাবনা। এই পরিকল্পনার অন্তর্গত ‘ভিশন ২০১৪’-এ আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে রেলের পণ্য পরিবহণ ক্ষমতা ২০২ কোটি মেট্রিক টন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: আকসাই চিন থেকে কারাকোরাম গিরিপথে জুড়বে নয়া চিনা সড়ক
খসড়ায় জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে পণ্য পরিহণের ক্ষমতা অন্তত ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে চান রেল কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত পণ্য পরিবহণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তিনটি ‘ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর’ প্রকল্পে প্রায় ৩,৯৫৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে বলেও ওই খসড়া জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ইস্তফা গ্রহণ করলেন না স্পিকার, সোমবার হাজিরার নির্দেশ