ফাইল চিত্র।
দেশে মোট ৮৬ জনের দেহ ধরা পড়ল করোনার ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ। তবে করোনার এই রূপের সংক্রমণ ডেল্টার মতো ততটা দ্রুত ছড়াচ্ছে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে কেন্দ্র।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি)-এর ডিরেক্টর এস কে সিংহ বলেন, “মে-র শেষ পর্যন্ত ডেল্টা ব্যাপক ক্ষতি করেছে দেশে। সেই সময় সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে ৯০ শতাংশই ডেল্টা রূপ।” ডেল্টার ভয়াবহতা দূর হতে না হতেই ডেল্টার নতুন রূপ এসে হাজির হয় দেশে। এই রূপকে ‘ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন’ বললেও ভারতে যে এর মারাত্মক প্রভাব এখনও পড়েনি মঙ্গলবার সে কথাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
এস কে সিংহ বলেন, “করোনার আলফা, বেটা, গামা, ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস রূপের উপর আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। কাপ্পা এবং বি১৬১৭.৩— এই দুই রূপ সম্পর্কে আরও ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শুধু তাই নয়, করোনার কোনও পরিবর্তিত রূপ দেশে ঢুকে পড়ছে কি না সে দিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনসিডিসি-ক ডিরেক্টর।
দেশের ৩৭টি জেলায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির যে প্রবণতা বজায় রয়েছে তা নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, “দেশে সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণের হার কমলেও কিছু কিছু অংশে এখনও তা বেশ উদ্বেগজনক অবস্থাতেই রয়েছে।”