তেজস যুদ্ধবিমান— ফাইল চিত্র।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিল নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগোষ্ঠী (সিসিএস)। বুধবার সিসিএস-এর বৈঠকে প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যালস লিমিটেড’ (হ্যাল) থেকে তেজসের উন্নততর সংস্করণ মার্ক-১এ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, ৮৩টি তেজস মার্ক-১এ কেনার জন্য খরচ হবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। তাঁর টুইট, ‘এই চুক্তি দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পথে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে’। তিনি জানান, তেজসের নয়া সংস্করণ আগামী দিনে ভারতীয় বায়ুসেনার মেরুদণ্ড হবে। আগামী ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে তেজস মার্ক-১এ স্কোয়াড্রনগুলি ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দেবে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ তেজসের উন্নততর সংস্করণ কেনার সুপারিশ করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সিসিএস-কে। তারই ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত।
তিনি জানান, বর্তমানে এই যুদ্ধবিমানে ৫০ শতাংশ ভারতীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়। আগামী দিনে তা বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করা হবে। হ্যাল-এর নাসিক এবং বেঙ্গালুরু ডিভিশনে এর যন্ত্রাংশ উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এই প্রথম কোনও দেশীয় সংস্থার সঙ্গে বিপুল অঙ্কের প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তেজসের আগের সংস্করণ গত শতকেই ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিল।
লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট বা হালকা গোত্রের যুদ্ধবিমান তেজস সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। চিনের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের তুলনায় তেজসের নয়া সংস্করণ উৎকর্ষে এগিয়ে বলে বায়ুসেনার দাবি। তেজসকে ‘অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যান্ড অ্যারো রেডার’ (এএসইএ), মিড এয়ার ফুয়েলিং এবং‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করার কাজও চালাচ্ছে হ্যাল। গত বছর ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে সফল ভাবে উড়ান এবং অবতরণ পরীক্ষা হয়েছিল তেজসের।
আরও পড়ুন: চিনের বিরুদ্ধে ভারতকে ‘অস্ত্র’ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প, দাবি নথিতে
২০১৮ সালে এই গোত্রের ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র চেয়েছিল ভারত। আমেরিকার লকহিড মার্টিন এবং বোয়িং, সুইডেনের সাব কর্পোরেশন-সহ একাধিক সংস্থা তাতে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল দেশীয় সংস্থা হ্যাল-এর হালকা যুদ্ধবিমান।
আরও পড়ুন: ফের দলের বিরুদ্ধে তোপ প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর