প্রতীকী ছবি।
টিকার ডোজের অভাবে মুম্বইয়ে বন্ধ হয়ে গেল ৭০টির বেশি টিকাকরণ কেন্দ্র। যার মধ্যে মধ্যে রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কেন্দ্রটিও। ওই কেন্দ্রের ডিন রাজেশ ডেরের দাবি, প্রথম দিন থেকেই মজুত টিকার ডোজ শেষ হওয়ার আগে তা পৌঁছে যেত এই কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার পর্যন্তও টিকার পর্যাপ্ত ডোজ ছিল। আশা করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতেই আরও ডোজ আসবে কেন্দ্রে। কিন্তু তা আসেনি। ওই টিকাকরণ কেন্দ্রে এখন ১৬০টি ডোজ পড়ে আছে বলে দাবি ডেরের।
মুম্বইয়ে মোট ১২০টি কেন্দ্রে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে। তার মধ্যে ৪৯টি কেন্দ্র চলছে রাজ্য সরকার এবং বৃন্মুম্বই পুরনিগমের (বিএমসি) তত্ত্বাবধানে। টিকার অভাবে ৭১টি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমনটাই দাবি বিএমসি-র।
মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর শুক্রবার বলেন, “শহরে এমন অনেক কেন্দ্র আছে যেগুলোতে টিকার মজুত শূন্য হয়ে গিয়েছে। ফলে টিকাকরণের কাজও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। জানতে পেরেছিলাম, শুক্রবারের মধ্যে ৭৬ হাজার থেকে ১ লক্ষ ডোজ মুম্বইয়ে আসবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে এর কোনও তথ্য আমরা পাইনি।” রাজ্য সরকার এবং বিএমসি পরিচালিত টিকাকরণ কেন্দ্রগুলো থেকে ৪০-৫০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টিকা না এসে পৌঁছনোয় সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে শহরের জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদও শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকেই মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে টিকার ডোজ নিয়ে একটা টানাপড়েন চলছে কেন্দ্রের। রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, টিকার মজুত ফুরিয়ে আসছে। তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দাবি করেন, করোনা সামলাতে ব্যর্থ মহারাষ্ট্র সরকার জনসাধারণের নজর ঘোরাতেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এই টানাপড়েনের আবহেই মুম্বই প্রশাসন শুক্রবার জানাল, টিকার ডোজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শহরের ৭১টি কেন্দ্র।