প্রতীকী ছবি।
গর্ভবতী গরুর পেট থেকে ৭১ কেজি প্লাস্টিক বার করলেন পশু চিকিৎসকরা। তবে গরু এবং তার বাচ্চাকে বাঁচাতে পারেননি তাঁরা। ঘটনাটি হরিয়ানার ফরিদাবাদের।
গত ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল গরুটি। সেটিকে উদ্ধার করে পশুদের নিয়ে কাজ করা ফরিদাবাদের একটি সংস্থা। গরুটিকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ওই সংস্থার সদস্যরা। অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২১ ফেব্রুয়ারি গরুটির অস্ত্রোপচার করতেই চমকে ওঠেন চিকিৎসক। প্রায় ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে গরুর পেট থেকে ৭১ কেজি প্লাস্টিক, পেরেক, কাচের টুকরো এবং জঞ্জাল বার করেন তিনি। বাচ্চাটাকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বহু জায়গায়। কিন্তু তার পরেও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার কমেনি। যার ফলে সামুদ্রিক জীব থেকে রাস্তার পশুরাও এর শিকার হচ্ছে। প্রাণহানি ঘটছে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশবিদ এবং পশুবিদরাও। প্লাস্টিক খেয়ে প্রতি বছর কত গরু মারা যায় দেশ জুড়ে, তার সরকারি হিসেব না থাকলেও এক পশুকল্যাণ সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের লখনউতেই এক হাজার গরুর মৃত্যু হয় প্লাস্টিক খেয়ে।
গোটা দেশে যখন গো রক্ষা নিয়ে আওয়াজ তুলছে গেরুয়া শিবির এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো, গরুদের সুরক্ষা নিয়ে যখন মোদী সরকার বিভিন্ন প্রকল্প করছে, প্লাস্টিকের কারণে গরু মৃত্যুর ঘটনায় সুরক্ষাবিধি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।