Pilot

বিমান চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়েন ৬৬ শতাংশ পাইলট, বলছে পরিসংখ্যান, মেনে নিচ্ছেন পাইলটেরাও!

এই প্রবণতা কতটা বিপজ্জনক তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই দেখেছে দেশ। ২০১০ সালে এই কারণেই মেঙ্গালোরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল একটি বিমান। চালক-সহ ১৫৮ জন বিমানযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৪২
Share:

ককপিটে ঘুম! কীসের ক্লান্তি?

নিদারুণ ক্লান্তির শিকার ভারতীয় পাইলটেরা! এতটাই যে কাজে বসলেই ঘুমিয়ে পড়েন! একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য দিয়েছেন খোদ পাইলটেরাই।

Advertisement

পাইলটের ‘কাজ’ মানে অবশ্য বিমান চালানো, আর তাঁদের ‘অফিসের চেয়ার-টেবল’ বলতে ককপিট। সমীক্ষা বলছে, সেই ককপিটে বসে বিমান চালাতে চালাতেই ঢুলুনি আসে ৯৫ শতাংশ পাইলটের। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশের ঘুমের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। বাকি ৪১ শতাংশের চোখ জুড়িয়ে আসার মাত্রা মাঝারি।

দেশের ৫৪২ জন বিমান চালকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল একটি এনজিও। তাদের প্রশ্নে পাইলটদের দেওয়া জবাবের ভিত্তিতেই এই ফলাফলে উপনীত হয়েছে এনজিওটি। সেফটি ম্যাটার্স ফাউন্ডেশন নামে ওই এনজিও-র সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’। তাতে এ-ও জানা গিয়েছে যে, ককপিটে বসে বসে ঘন ঘন ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আছে ৬৬ শতাংশ পাইলটের। তাঁদের অনেকেই আবার এধরনের ঘুমে ঢলে পড়ার আগে সহ-বিমানচালককে জানাতেও পারেন না!

Advertisement

এই প্রবণতা কতটা বিপজ্জনক তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই দেখেছে দেশ। ২০১০ সালে এই কারণেই মেঙ্গালোরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল একটি বিমান। চালক-সহ ১৫৮ জন বিমানযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়। তদন্তকারীরা ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার থেকে জানতে পেরেছিলেন ২ ঘণটা ৫ মিনিটের উড়ানের মধ্যে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ঘুমিয়ে ছিলেন ওই বিমানের চালক।

কিন্তু কেন ভারতীয় পাইলটদের এই মাত্রাছাড়া ক্লান্তিবোধ, যার জেরে বিমানযাত্রীদের প্রাণ সংশয় হতে পারে! রিপোর্টে তার কারণও ব্যাখ্যা করেছে এনজিওটি। তারা লিখেছে, ৭৪ শতাংশ ক্ষেত্রে এই ক্লান্তি বোধের কারণ নিয়মিত ভোররাতের বিমান চালানোর দায়িত্ব এবং তার পর টানা ১০-১২ ঘণ্টার কাজের সময়। সমীক্ষাকারী সংস্থাটির এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, এই ধরনের কাজের সময়ে বিমান চালকদের দেহ-ঘড়ির স্বাভাবিকত্বও নষ্ট করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement