শেষলগ্নেও মহাকুম্ভের প্রশংসা যোগী আদিত্যনাথের। —ফাইল চিত্র।
মহাকুম্ভ উপলক্ষে এখনও পর্যন্ত ৬২ কোটি পুণ্যার্থী এসেছেন প্রয়াগরাজে! গত একশো বছরে ভারতের অন্য কোথাও এত বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম আর হয়নি। মহাকুম্ভের শেষ সপ্তাহে এমনটাই জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫০ দিনের মেলার শেষ দিন। সেই আবহেই রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী জানিয়েছেন, এ বারের কুম্ভে প্রায় ৬২ কোটি মানুষ প্রয়াগরাজের সঙ্গমস্থলে এসেছেন, যা শতাব্দীর বিরলতম ঘটনাগুলির মধ্যে একটি। রবিবার আগরায় ‘ইউনিকর্ন কোম্পানিজ় কনক্লেভ’ নামে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন যোগী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘এমন এক সময় আসতে চলেছে যে দিন ভারতের মানুষ তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করবে। কুম্ভ সেই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস, যা মানুষকে তার আধ্যাত্মিক শিকড় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিকে ফিরিয়ে আনবে। তাই মহাকুম্ভকেও স্টার্টআপ জগতের ‘ইউনিকর্ন’ বলা যেতে পারে!’’
যোগী আদিত্যনাথের পর্যবেক্ষণ, গত একশো বছরে ভারতের কোথাও এত জনসমাগম হয়নি। যোগীর কথায়, ‘‘এত কম সময়ের মধ্যে কোনও পুণ্য উৎসবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম, তা সে আধ্যাত্মিক হোক কিংবা পর্যটনের উদ্দেশ্যেই হোক, শতাব্দীর বিরল ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম।’’
গোড়া থেকেই এ বারের মহাকুম্ভের যাবতীয় কৃতিত্ব প্রায় একাই নেওয়ার চেষ্টা করেছেন যোগী। নিজেকে মহাকুম্ভের ‘মুখ’ করে তুলতেও কম খাটেননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, ২০২৯ সালে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সামনের সারিতে থাকা সুনিশ্চিত করতে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কুম্ভের ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেননি। তাই গত মাসখানেক ধরে ঘুরেফিরে বার বার সেই ‘মহাকুম্ভ’ প্রসঙ্গই হাতিয়ার হয়ে উঠেছে যোগী আদিত্যনাথের। আগেই যোগী জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভ সে রাজ্যের অর্থনীতিতে বড় ছাপ রেখেছিল। সে বার প্রায় ২৪ কোটি মানুষ ভিড় করেছিলেন প্রয়াগরাজে। সরকারের আয় হয়েছিল এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আশা, এ বারের মেলা থেকে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এমনকি, আয় কয়েক লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।