কয়লা পাচার-কাণ্ডে গত মাসে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই মতো রবিবার দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার তাঁর ইডি দফতরে যাওয়ার কথা। এর আগে ওই একই অভিযোগে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা দেননি। অভিষেক অবশ্য সেই পথে যাননি। তিনি যাবেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, "তদন্তের মুখোমুখি হতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে প্রতিহিংসাবশত হেনস্থা করতেই এই পদক্ষেপ।" ফলে আজ নজর থাকবে ইডি দফতরে অভিষেকের জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত খবরের দিকে।
অভিষেকের পাশাপাশি আজ সিআইডি তদন্তের মুখোমুখি হতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। নিরাপত্তারক্ষী মৃত্যু মামলায় আজ তাঁকে ভবানী ভবনে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিআইডি। তবে শুভেন্দু সেখানে যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর পিছনে দু'টি কারণ উঠে আসছে। এক, বিরোধী দলনেতার দিল্লি যেতে পারেন এমন জল্পনা চলছে। তা হলে তদন্তের মুখোমুখি তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। দুই, এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি এড়িয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তবে বিপরীত দিকে ভিন্ন মতও রয়েছে অনেকের মধ্যে। একই দিনে জেরার করা কথা দুই ওজনদার নেতাকে। অভিষেক যে হেতু আগেই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। শুভেন্দুও হয়তো যেতে পারেন ভবানী ভবনে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা সময়ই বলবে। আর নজর থাকবে ওই সংক্রান্ত খবরের দিকেও।
নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা-সহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পাঁচটি মামলা খারিজ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর আর্জি, রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। তাই হয় ওই মামলাগুলি খারিজ করা হোক, নতুবা ওই তা সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করা হোক। সিআইডি বা রাজ্য পুলিশের উপর তাঁর ভরসা নেই। আজ দুপুর ২টো নাগাদ ওই মামলাটি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা। শুভেন্দু আর্জিতে কী সাড়া দেবে আদালত আজ নজর থাকবে ওই খবরের দিকেও।
ওই খবরগুলি ছাড়াও আজ নজর থাকবে আফগানিস্তানের তালিবান পরিস্থিতি, ভবানীপুরের উপনির্বাচন, বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সাংবাদিক বৈঠক এবং ভারত ও ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের দিকে।