প্রতীকী ছবি।
সংখ্যায় ছয় জন। ঠিক পঠানকোটের ধাঁচে আরও একটা বড়সড় আত্মঘাতী হামলার জন্য তৈরি হয়েই এসেছিল তারা। জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে ছয় জঙ্গিই।
সোমবার কাকভোরে তার কেটে অনুপ্রবেশের সময় জওয়ানদের নজরে পড়ে যায় ৬ ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি। জওয়ানরা গুলি চালালে পাল্টা গ্রেনেড ছুড়তে থাকে তারা। ডজনখানেক গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনা। সেনার গুলিতে খতম হয় ছয় জঙ্গিই।
এ দিন সকালে কাশ্মীরের দুলাঞ্জা-উরি সেক্টরে এই লড়াই চলে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস পি ভৈদ জানিয়েছেন, জঙ্গিরা প্রত্যেকেই জৈশ-ই-মহম্মদের সদস্য। নিহতদের কাছে থেকে প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
হামলার খবর পাওয়ার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন জম্মু-কাশ্মীর রাইফেলস, আধাসেনা বাহিনীর জওয়ানেরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আগের ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি শিবিরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফিদায়েঁ হামলা মোকাবিলার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।’’ সেনা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
আরও পড়ুন: রাওয়তকে জবাব পাকিস্তানের
গত ৩১ ডিসেম্বর ভোর রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের লেথপোরায় আধা সামরিক বাহিনীর এক প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় শহিদ হন ৪ সিআরপি জওয়ান, আহত হন ৩ জন। তার পর এ দিন ফের হামলার ঘটনা ঘটল।