উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। —ফাইল চিত্র।
উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে নতুন পাইপ পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। ছ’ইঞ্চি চওড়া সেই পাইপের মাধ্যমে সোমবার নতুন নতুন খাবার পেয়েছেন শ্রমিকেরা। পাইপ দিয়ে পাঠানো হয়েছে মোবাইল ফোনও।
মঙ্গলবার উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ পা রাখল ১০ দিনে। গত ১০ দিন ধরে ধসে পড়া সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের বার করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে চওড়া পাইপ ঢুকিয়ে তার মাধ্যমে শ্রমিকদের বাইরে আনা হবে বলে পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার সেই খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সুড়ঙ্গের ভিতরে আবার ধস নামে।
আটকে পড়া সকল শ্রমিকই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল সোমবার এসেছে ঘটনাস্থলে। শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ মেনে খাবার পাঠানো হচ্ছে সুড়ঙ্গের ভিতরে। এত দিন মূলত শুকনো খাবার পাচ্ছিলেন শ্রমিকেরা। সোমবার নতুন পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে গিয়েছে খিচুড়ি। এ ছাড়া আপেল, কলা, কমলালেবু এবং ডালিয়ার মতো খাবারও পাঠানো হয়েছে। প্লাস্টিকের বোতলে ভরে খিচুড়ি পাঠানো হয়েছে পাইপের মাধ্যমে।
৪১ জন শ্রমিকের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রেখেছেন উদ্ধারকারীরা। পাইপের মাধ্যমেই তাঁদের সঙ্গে এত দিন কথা বলা হচ্ছিল। পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন শ্রমিকেরা। সোমবার নতুন পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতর পাঠানো হয়েছে একটি মোবাইল ফোন এবং চার্জার।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদলের প্রধান আর্নল্ড ডিক্স বলেন, ‘‘এখানে খুব ভাল কাজ হচ্ছে। আমরা ওদের বার করে আনবই। এখানে অনেক কাজ চলছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের পাশাপাশি যাঁরা উদ্ধার করছেন, তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে।’’
সুড়ঙ্গের অন্তত ৬০ মিটার গভীরে শ্রমিকেরা আটকে আছেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৪ মিটার খোঁড়া গিয়েছে। নানা দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশ থেকে সম্ভব না হলে উপর দিক থেকেও মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হতে পারে। আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনার জন্য, জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা।