প্রতীকী ছবি।
ঝাড়খণ্ডের ছাতরা জেলায় বছর পঞ্চাশের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হল। গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল স্টিলের গ্লাস।
গণধর্ষণের পরে নির্ভয়ার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোহার রড। হাথরসের স্মৃতি এখনও টাটকা। এরই মধ্যে গত রবিবার বদায়ূঁতে বছর পঞ্চাশের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এত ভারী কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল যে, তাঁর পাঁজর ও পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ঝাড়খণ্ডে হান্টারগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এ বলা হয়েছে, কোবনা গ্রামের বাড়িতে একা থাকতেন মহিলা। বৃহস্পতিবার রাতে শৌচের প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরোতেই তাঁর উপরে হামলে পড়ে এলাকার তিন যুবক। গণধর্ষণের পরে তাঁর গোপনাঙ্গে একটি জল খাওয়ার স্টিলের গ্লাস ঢুকিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অনেক ক্ষণ পড়ে ছিলেন মহিলা। পরে হান্টারগঞ্জ কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানকার মেডিক্যাল ইনচার্জ বেদ প্রকাশ জানান, অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে গয়া জেলার মগধে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, ধর্ষকদের তিন জনই কোবনা গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে বাবলু পাসোয়ান ও বিট্টু পাসোয়ানকে গ্রেফতার করা গেলেও তৃতীয় জন গা ঢাকা দিয়েছে। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কিছু সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ও যুবকদের মধ্যে সম্প্রতি কোনও কিছু নিয়ে বিরোধ ঘটেছিল।