প্রতীকী ছবি।
সাত বছরের এক ছাত্রকে অপহরণ করে তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার অভিযোগে পাঁচ নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের সবার বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এরা সকলেই দশম শ্রেণির ছাত্র। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর জেলার ঘটনা। অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে এক কিশোর নিহত ছাত্রের সঙ্গে একই স্কুলে পড়ত।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পাঁচ কিশোরের এক জন ৪০ হাজার টাকা ভুলবশত হারিয়ে ফেলেছিল। বিষয়টি বাড়িতে না জানিয়ে বন্ধুদের পরামর্শ নেয় সে। তাদের মধ্যেই এক জন পরামর্শ দেয়, স্কুলের কোনও এক ছাত্রকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তপণ আদায়ের।
গত ৯ জুলাই সাত বছরের ওই ছাত্রটি প্রথম স্কুলে ঢোকে। নির্দিষ্ট কোনও ছাত্রকে অপহরণ করার পরিকল্পনা না থাকায় ফাঁকা পেয়ে তাকেই অপহরণ করার কথা ঠিক করে অভিযুক্তেরা। ওই ছাত্রকে খেলার ছলে স্কুলের পিছনে এনে বাইকে করে নিয়ে যায় আলিগড়ে। সেখানে এক অভিযুক্তের একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানেই তাকে আটকে রেখে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। কিন্তু ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে তারা অপহৃত ছাত্রটির গলায় রুমালের ফাঁস লাগিয়ে তাকে মেরে ফেলে। তার পরে তার দেহ ভাসিয়ে দেয় একটি নদীতে। তার পরে স্কুলেও ফিরে আসে তারা।
পরের দিন ওই ছাত্রের দেহ নদী থেকে উদ্ধার হলে তদন্ত শুরুকরে পুলিশ। এ দিকে, অপহৃত বালকের বাবাও পুলিশে ছেলের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। প্রায় দু’শো জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই পাঁচ জনকে আটক করা হয়। তখনই পুলিশ জানতে পারে, টিভিতে ক্রাইম সিরিয়াল দেখে এই ধরনের পরিকল্পনা করেছিল নাবালকের দল।