National News

ছেলেধরা গুজবে এবার মহারাষ্ট্রে গণপিটুনির বলি পাঁচ

রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ধুলে জেলার রাইনপদা গ্রামে পাঁচ জন অপরিচিত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাঁরা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে ভিক্ষা চাইছিলেন। এদিকে তার আগেই এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়েছিল। ওই পাঁচ জনকে দেখেই আগুনে ঘি পড়ে। সন্দেহ গিয়ে পড়ে ওই পাঁচ জনের উপর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৮ ২০:০১
Share:

মহারাষ্ট্রের ধুলেতে গণপিটুনির বলি পাঁচ। —প্রতীকী চিত্র

ত্রিপুরার পর মহারাষ্ট্র। ‘ছেলেধরা’ আতঙ্ক দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তে। গুজবের জেরে এবার মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলায় পাঁচ জনকে পিটিয়ে মারল জনতা। ঘটনায় ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ধুলে জেলার রাইনপদা গ্রামে পাঁচ জন অপরিচিত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাঁরা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে ভিক্ষা চাইছিলেন। এদিকে তার আগেই এলাকায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়েছিল। ওই পাঁচ জনকে দেখেই আগুনে ঘি পড়ে। সন্দেহ গিয়ে পড়ে ওই পাঁচ জনের উপর।

এরপরই পাঁচ জনকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় একটি ঘরে। সেখানে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে শুরু হয় গণপিটুনি। কিল, ঘুসি, লাথির সঙ্গে বাঁশ-লাঠি দিয়েও বেধড়ক পেটানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে গাড়ির মধ্যেই ধর্ষিতা বিদেশি পর্যটক, অভিযুক্ত ট্যুর গাইড

ধুলের পুলিশ সুপার আর রামকুমার জানিয়েছেন, মৃতেরা মহারাষ্ট্রেরই শোলাপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা ভিক্ষা করতেই গ্রামে এসেছিলেন। ছেলেধরা গুজবে তাঁদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পদস্থ পুলিশকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছেন। পাশাপাশি ধৃতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ নয়, ধর্ষকের ফাঁসি চান মন্দসৌরে ধর্ষিতা নাবালিকার বাবা

ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথম কোথা থেকে এই ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে, তার উৎস খোঁজার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের গুজব আটকানো যায়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement