আমপানের মোকাবিলায় এ ভাবেই কাজ করেছিলেন এনডিআরএফ জওয়ানরা। —ফাইল চিত্র
এসেছিলেন ঘূর্ণিঝড় আমপানের মোকাবিলা করতে। ফিরেছেন করোনা নিয়ে। ওড়িশা থেকে এ রাজ্যে আসা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র ৪৯ জন সদস্যের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল। ওড়িশা রাজ্য প্রশাসনের একাংশের আশঙ্কা, পশ্চিমবঙ্গ থেকেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ওই কর্মীরা। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও ওড়িশা থেকে দমকল ও ওড়িশার রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ছ’শো কর্মী এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। তাঁদেরও কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। তাঁদের রেজাল্ট এলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে ওড়িশার প্রশাসন।
রাজ্যে আমপানে দুর্গতদের উদ্ধার এবং পরে পুনর্গঠনের কাজ করতে ওড়িশা থেকে এসেছিলেন ১৭৩ জন। তাঁরা কটকের কাছে মুন্দালির থার্ড ব্যাটালিয়নের কর্মী। পশ্চিমবঙ্গে কাজ শেষে তাঁরা ওড়িশায় ফিরে যান ৩ জুন। মুন্দালির এক এনডিআরএফ আধিকারিক বলেন, ‘‘রাজ্যে ফেরার পরেই এক জনের কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁকে কটকের অশ্বিনী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই কর্মী-সহ ১৭৩ জনেরই লালারসের নমুনা নিয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৪৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, আক্রান্তদের সবাইকে মুন্দালিতেই কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে।
কিন্তু উদ্বেগের এখানেই শেষ নয়। এনডিআরএফ ছাড়াও ওড়িশার দমকল বিভাগের ৩৭৬ জন এবং ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ২৭১ জন কর্মীও পশ্চিমবঙ্গে আমপান মোকাবিলায় এসেছিলেন। ওই এনডিআরএফ কর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেই এই ৬৪৭ জনেরও লালারসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদেরও রিপোর্ট মিলবে। ফলে এ রাজ্য থেকে ফেরা ওই কর্মীদের আরও অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন বলেই আশঙ্কা করছে ওড়িশার রাজ্য প্রশাসন।
আরও পড়ুন: মেঝেতে চক দিয়ে লেখা সুইসাইড নোট, ঠাকুরপুকুরে অনটনে আত্মঘাতী বাবা-মা-ছেলে
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, দেশে করোনায় আক্রান্ত ২.৬৬ লক্ষ
অন্য দিকে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পাল্টানো হচ্ছে এনডিআরএফ-এর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর। বন্যা বা অন্য কোনও বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কোনও রাজ্যে গেলে তাঁদের পিপিই-সহ করোনা সুরক্ষার যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হবে বলে এনডিআরএফ-এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওড়িশা রাজ্য প্রশাসন এনডিআরএফ-কে ৬০ হাজার সাধারণ পিপিই এবং প্রত্যেক এনডিআরএফ কর্মীর জন্য দু’টি করে বিশেষ পিপিই দিয়েছে।