নিজেদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত মৃতের দেহ নিতে অস্বীকার করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। প্রতীকী ছবি।
শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে ১২ শতাংশ সংরক্ষণের দাবিতে রাজস্থানের জাতীয় সড়কে অবরোধে বসা এক প্রতিবাদীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। মৃতের পরিবারের দাবি, সরকারের অনড় মনোভাবের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। যদিও বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশের পাল্টা দাবি, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।
গত শুক্রবার থেকে রাজস্থানের ভরতপুরে সংরক্ষণ-সহ নানা দাবি নিয়ে অবরোধ শুরু করেছেন রাজস্থানের সাইনি, মালি, মৌর্য এবং কুশওয়হা সম্প্রদায়ের মানুষজন। ভরতপুরের ২১ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে পাথর ছড়িয়ে রাস্তা আটকে রেখেছেন তাঁরা। ঘটনাচক্রে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতও মালি সম্প্রদায়ভুক্ত। অভিযোগ, অবরোধকারীদের সংরক্ষণের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও তাতে ক্ষান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে অবরোধস্থলের অদূরে একটি গাছে মোহন সিংহ সাইনি নামে ৪৮ বছরের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। হালেনা থানার ললিতা গান্ধার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শুক্রবার থেকে জাতীয় সড়কে অবরোধে বসেছিলেন। হালেনা থানার সাব-ইনস্পেক্টর বিশ্বম্ভর সিংহ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘অবরোধের জায়গা থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি গাছে মৃতের দেহ মিলেছে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের কাছ থেকে একটি আধার কার্ড, মোবাইল ফোন আর ৩২৫ টাকা মিলেছে। যদিও কোনও সু্ইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।’’
সাইনি সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের পর রাজস্থান সরকারের কাছে প্রতিবাদীদের দাবি, মৃতের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মৃতের দেহ নিতেও অস্বীকার করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। সংবাদমাধ্যমের কাছে মোহনের ছেলে নীরজ সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় মৃত্যু হয়েছে বাবার। সংরক্ষণের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরবেন তিনি।’’