ঝাড়খণ্ডের নাওমুন্ডিতে বুথের বাইরে ভোটারদের লাইন। ছবি: সংগৃহীত।
ঝাড়খণ্ডে কি এ বার পালাবদল ঘটবে? বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ কি ঝাড়খণ্ডের মসনদ নিজেদের দখলে রাখতে পারবে না কি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার গড়বে? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী ২৩ নভেম্বর। তার আগে বুধবার বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে। ৮১ আসনে ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় ৪৩টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। বুধবার ভাগ্যপরীক্ষা ৬৮৩ জন প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ১৫ হাজার ৩৪৪ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিশেষ নজর মাওবাদী উপদ্রব এলাকায়। সেখানে বুথ পাহারা থেকে শুরু করে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
ঝাড়খণ্ডে পদ্ম ফোটাতে তৎপর বিজেপি। প্রচারলগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বার বার ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে এই রাজ্যে। প্রচার সভা থেকে হেমন্ত সোরেন এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের সরকারের মদতে গত পাঁচ বছরে আদিবাসীদের জমি গ্রাস করছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। তুলনায় ‘ইন্ডিয়া’ কিছুটা অগোছালো। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব বিজেপি। অন্য দিকে, অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদী সরকারকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন হেমন্তও। টেনে এনেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গও।
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বুধবার ঝাড়খণ্ডে চলছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। প্রথম দফার ভোটে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন (সরাইকেলা), তাঁর পুত্র বাবুলাল (ঘাটশিলা), দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— মধু কোড়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোড়া (জগনাথপুর) এবং অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা)। বিজেপির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পুত্রবধূ পূর্ণিমা। উল্লেখযোগ্য কংগ্রেস প্রার্থী, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন আইপিএস অজয় কুমার (জামশেদপুর পূর্ব) এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ (লোহারডাগা)।