জয়ী ৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১১টি। ফাইল চিত্র।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন রাজ্যসভা নির্বাচনের ৪১ জন প্রার্থী। ১১টি রাজ্যের ওই জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের পি চিদম্বরম, এসপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী কপিল সিব্বল, রাষ্ট্রীয় লোক দলের জয়ন্ত চৌধরিরা। দ্বিতীয় বারের জন্য জিতলেন লালুপ্রসাদ কন্যা মিসা ভারতীও। ১০ জুন বাকি চার রাজ্যের ১৬টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে।
১০ জুন মহারাষ্ট্র (৬টি), রাজস্থান (৪টি), কর্নাটক (৪টি) ও হরিয়ানা (২টি)— সব মিলিয়ে মোট ১৬টি আসনে ভোট হবে। জয়ী ৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১১টি আসন। কংগ্রেস এবং ওয়াই এস আর কংগ্রেস জিতেছে ৪টি করে আসন। বিজেডি ও ডিএমকে জিতেছে দুটি আসনে। আপ, আরজেডি, টিআরএস, এআইডিএমকে দুটি করে আসনে ও জেএমম, জেডিইউ, এসপি ও আরএলডি জিতেছে একটি করে আসন।
বাকি চার রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ছ’টি আসনের জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন সাত জন প্রার্থী। সেখানে বিজেপির দু’টি আসনে জয় নিশ্চিত। যদিও তারা সেখানে তিন জন প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বহুজন বিকাশ আগাড়ি জানিয়েছে, তাদের তিন বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করবে। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের টানতে তৎপর বিজেপি। বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কায় আজ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত দলীয় বিধায়কদের অজ্ঞাত স্থানে রাখা হবে বলে জানিয়েছে শিবসেনা। অন্য দিকে কর্নাটকে বিরোধী কংগ্রেস ও জেডিএসের বিবাদের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। প্রাথমিক ভাবে ওই রাজ্যে কংগ্রেস ও জেডিএস এক জন করে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। ঠিক হয়, কংগ্রেস তাদের বাড়তি ভোটের মাধ্যমে জেডিএসের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনবে। কিন্তু পরে কংগ্রেস দলের সংখ্যালঘুকে নেতাকে কর্নাটকে দ্বিতীয় প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করায়। এতে জেডিএস প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ক্ষুব্ধ জেডিএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারাও কংগ্রেসের দ্বিতীয় প্রার্থীকে সমর্থন জানাবে না। বিজেপির দাবি, দু’দলের মধ্যে ভোট কাটাকাটির ফায়দা নিয়ে দ্বিতীয় পছন্দের ভোটে দলের তৃতীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারবে তারা।
বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা রয়েছে হরিয়ানা ও রাজস্থানে। হরিয়ানায় দু’টি আসনের লড়াইয়ে বিজেপি দু’জন ও কংগ্রেস এক জন প্রার্থী দিয়েছে। অন্য দিকে রাজস্থানে চারটি আসনের লড়াইয়ে শাসক কংগ্রেস তিনটি ও বিজেপি দু’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপির লক্ষ্যই হল, ওই দুই রাজ্য থেকে কংগ্রেসকে বাড়তি একটি আসনও না দেওয়া।
কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের বিধায়কদের সমর্থন কিনতে তলে তলে যোগাযোগ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সে কারণে জন্য রাজস্থান ও হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের যথাক্রমে উদয়পুর ও ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরের হোটেলে লুকিয়ে রেখেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতাদের অন্তর্কলহের ফায়দা নিয়ে তৃতীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে আনবে দল। রাজস্থানে নির্দল ও ছোট দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি। নির্দল ও ছোট দলগুলি বিজেপির পাশে দাঁড়ালে কংগ্রেসের তৃতীয় প্রার্থীর জয় কঠিন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।