CJI DY Chandrachud

অনাগত শিশুকে নিয়ে ৪০ মিনিট কথা প্রধান বিচারপতির চেম্বারে

মামলাটি বছর কুড়ির এক অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে নিয়ে। তিনি যে গর্ভবতী, তা জানেন না তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও। প্রথমে গর্ভপাত করতে চেয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪০
Share:

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল চিত্র।

এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি সে। কিন্তু তাকে নিয়ে ৪০ মিনিট একটানা আলোচনা চলল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের চেম্বারে। হাজির রইলেন বিচারপতি পি এস নরসিমা, বিচারপতি জে আর পারদিওয়ালা এবং কেন্দ্রের দুই শীর্ষ আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত সেই অনাগত শিশুর স্বার্থকে মাথায় রেখে নেওয়া হল সিদ্ধান্ত।

Advertisement

মামলাটি বছর কুড়ির এক অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীকে নিয়ে। তিনি যে গর্ভবতী, তা জানেন না তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও। প্রথমে গর্ভপাত করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এমসের বিশেষজ্ঞ দল ছাত্রীকে পরীক্ষা করে জানায়, তিনি ২৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এই পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

এই মানবিক সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সদস্য প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি নরসিমা ও বিচারপতি পারদিওয়ালা। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে সন্তান প্রসব করতে রাজি হন ওই ছাত্রী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশ্যে আদালতে শুনানির মধ্যেই প্রধান বিচারপতি বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাট্টি। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের মতে, গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যই বাকি আলোচনা চেম্বারে করেন প্রধান বিচারপতি। সূত্রের খবর, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন তিনি নিজেই এক সময়ে ওই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। তবে এখন শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় এমন এক দম্পতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াই গোপন রাখা হবে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নিজেই দুই বিশেষ ভাবে সক্ষম মেয়েকে দত্তক নিয়েছেন। তিনি জানান, এই শিশুটির বিষয়ে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement